চুরির দায়ে সুরমান আলি (৩৫) নামের এক রিকশাচালককে কুষ্টিয়ার বারখাদা ত্রিমোহনীতে অবস্হিত নিউ জননী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের একটি রুমে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, চুরির মিথ্যা অভিযোগে নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ২০২৫ ইং সকালে থানাপাড়ার জিকে বালুঘাট এলাকা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুরমান আলি জিকে ঘাট এলাকার আব্দুল কালামের ছেলে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে স্থানীয় হালিম বিক্রেতা হাকিম তার বাড়ি থেকে গহনা চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে যায়। পরে কোথাও না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জিকে বালুর ঘাট এলাকায় আমেনা খাতুন নামে এক নারীর বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় সুরমানের মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ বলছে, সুরমানের শরীরের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বলেন, হালিম বিক্রেতা হাকিম আমার ভাই সুরমানকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ইলেকট্রিক শকসহ লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। তিনি তার ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মো. খাইরুজ্জামান বলেন, নিহত সুরমানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকেই হালিম বিক্রেতা হাকিমসহ সন্দেহভাজনরা গা ঢাকা দিয়েছে।
লাশ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া পুলিশের একটি টিম ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে সেখানে কিছু বাটাম, লাঠি ও সরকারী ওষুধ দেখতে পায় এবং ক্লিনিকের কাউকে না পাওয়ায় পুলিশ ধারনা করছে এই হত্যার সাথে আরও অনেকে জড়িত আছে । প্রতিনিধিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বলেন , আমরা আরও বিস্তারিত যাচাই-বাচাই শেষে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করে হ্ত্যাকান্ডের বর্ণনা আপনাদের জানাতে পারবো ॥