Dhaka ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত, আটক ৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি ও যুবদলের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাটে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া মির্জার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাবুর ওষুধের দোকানের সামনে রাখা  বেঞ্চে ধাক্কা লাগে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ও বাবুর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবুর সহদর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও অপর সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামসহ কয়েকজন শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালান।  এনিয়ে লোকজনের উপস্হিতিতে

জানজটের মুখে পড়ে শফিকুল পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে শফিকুলকে রক্ষায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।

আহতরা হলেন ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মির্জা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলম মিয়া এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব।

ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা বাবুর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাজমুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও বাঁধন নামে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মন্ডল বলেন, ‘এই হামলা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে আমাদের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘দোকানে সামনে রাখা বেঞ্চে মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মারামারির সূত্রপাত হয়েছে। উভয় পক্ষের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়। হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেসন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত, আটক ৩

Update Time : ০৬:০৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি ও যুবদলের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাটে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া মির্জার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাবুর ওষুধের দোকানের সামনে রাখা  বেঞ্চে ধাক্কা লাগে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ও বাবুর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবুর সহদর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও অপর সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামসহ কয়েকজন শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালান।  এনিয়ে লোকজনের উপস্হিতিতে

জানজটের মুখে পড়ে শফিকুল পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে শফিকুলকে রক্ষায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।

আহতরা হলেন ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মির্জা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলম মিয়া এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব।

ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা বাবুর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাজমুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও বাঁধন নামে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মন্ডল বলেন, ‘এই হামলা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে আমাদের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘দোকানে সামনে রাখা বেঞ্চে মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মারামারির সূত্রপাত হয়েছে। উভয় পক্ষের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়। হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’