সাঁতরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১১ জন সাঁতারু।
পেকুয়ার মগনামা ঘাট থেকে গত শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে শুরু হয় একদল সাতারুর রোমাঞ্চকর সমুদ্রযাত্রা। সুনিপুণ কৌশলে চারপাশের অথৈ জলকে বশে এনে সামনের দিকে এগিয়ে চলে সাতারুরা। হাত-পায়ের দক্ষতায় নোনাজলের শরীর ভাসিয়ে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। গন্তব্য ৪ কিলোমিটার দূরের সাগরবেষ্টিত দ্বীপ কুতুবদিয়া।
কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিতে প্রথম স্থান অর্জন করা ‘সী হর্স’ খ্যাত সাতারু সাইফুল ইসলাম রাসেলের সময় লাগে মাত্র ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অন্য দুই সাতারুর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা পেকুয়ার সন্তান মো: আব্দুল মতিনের চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় লাগে এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট এবং তৃতীয় হওয়া মো: সাখাওয়াত হোসেন সাকিবের সময় লাগে ২ ঘন্টা ১০ মিনিট।
কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ঘাটের কাছে ম্যানগ্রোভ এলাকায় পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে এ সাঁতার শেষ করেন ১১ জন সাতারু। ৪ জন কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিতে ব্যর্থ হন।’কুতুবদিয়া চ্যানেল সাঁতার-২০২৫’ শিরোনামে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং’ নামের একটি সংগঠন।প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার ছিল এখন টিভি।সাঁতারে প্রথম স্থান অর্জন করা সাইফুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘উপকূলের বৈচিত্র্যময় পরিবেশে, উন্মুক্ত সাগরজলে সাঁতারের এ আয়োজন দারুণ লেগেছে। আমাদের দেখে যেন আরও এই জনপদের মানুষ সাঁতারে উৎসাহী হয় সেটাই আমার চাওয়া।
‘আয়োজক ‘বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং’ এর চেয়ারম্যান নাসির আহমেদ সৌরভ বলেন, ‘মূলত উপকূলে জল দূষণ এবং জলজ জীবনের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জল পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং সাঁতারের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করতেই এ উদ্যোগ।’সাগরজলে ব্যাতিক্রমী এ সাঁতার প্রতিযোগিতা আগ্রহ জাগিয়েছে স্থানীয়দের মাঝেও।আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়াদের মধ্যে ৩ জন ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক ‘ওশান ম্যান’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। তারা হলেন নাসির আহমেদ সৌরভ, আলী রনক ও সাইফুল ইসলাম রাসেল। এছাড়াও ১২ জন ইতোপূর্বে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।