Dhaka ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই এই নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোক বলে।সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়।

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২- এর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, শুভ নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সবার আনন্দের দিন, বর্ষবরণের দিন।

তিনি বলেন, ফসলি সন হিসেবে কৃষিকাজের সুবিধার জন্য বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল। এখনও এ দেশের কৃষক বাংলা তারিখের হিসাবে বীজ বোনেন, ফসল তোলেন। বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। এখনকার আধুনিক সময়েও এখনও হালখাতার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বাংলাদেশের হাট বাজারে, শহরে-বন্দরে।

ড. ইউনূস বলেন, নববর্ষের বৈশাখী মেলায় বাংলাদেশের জেলায় জেলায় উদ্যোক্তারা নিজেদের সৃজনশীলতা তুলে ধরেন। এ দিনকে উপলক্ষ্য করে সারাদেশে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাড়ি-পাতিল, খেলনা, হাতপাখা ইত্যাদি তৈরি করেন তারা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং একে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের এসব ঐতিহ্য যেন আমাদের নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। আমাদের সংস্কৃতি যেন বিশ্বের দরবারে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের স্বর্গীয় ঐতিহ্য নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে তুলে ধরতে এবং পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে বছরের এ দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই।

পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষ এবার বড় পরিসরে উদযাপন করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এ বছরের নববর্ষের আমাদের অঙ্গীকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা

Update Time : ০৮:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই এই নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোক বলে।সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়।

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২- এর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, শুভ নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সবার আনন্দের দিন, বর্ষবরণের দিন।

তিনি বলেন, ফসলি সন হিসেবে কৃষিকাজের সুবিধার জন্য বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল। এখনও এ দেশের কৃষক বাংলা তারিখের হিসাবে বীজ বোনেন, ফসল তোলেন। বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। এখনকার আধুনিক সময়েও এখনও হালখাতার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বাংলাদেশের হাট বাজারে, শহরে-বন্দরে।

ড. ইউনূস বলেন, নববর্ষের বৈশাখী মেলায় বাংলাদেশের জেলায় জেলায় উদ্যোক্তারা নিজেদের সৃজনশীলতা তুলে ধরেন। এ দিনকে উপলক্ষ্য করে সারাদেশে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাড়ি-পাতিল, খেলনা, হাতপাখা ইত্যাদি তৈরি করেন তারা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং একে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের এসব ঐতিহ্য যেন আমাদের নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। আমাদের সংস্কৃতি যেন বিশ্বের দরবারে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের স্বর্গীয় ঐতিহ্য নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে তুলে ধরতে এবং পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে বছরের এ দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই।

পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষ এবার বড় পরিসরে উদযাপন করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এ বছরের নববর্ষের আমাদের অঙ্গীকার।