Dhaka ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলার দৌলতখানের মদনপুরের চর বৈরাগিয়া মৌজায় জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ

জাল জালিয়াতি করে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চর বৈরাগিয়া মৌজায় ভুয়া খতিয়ান খুলে জমি দখলের পায়তারার করছে একটি অসাধু মহল এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে জমির প্রকৃত মালিকরা। রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ১৪ ঘর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রকৃত জমির মালিকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চর বৈরাগিয়া মৌজার শতাধিক বাসিন্দা।

সম্মেলনে বৈরাগিয়া মৌজার জমি মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৫ শতাধিক সদস্য তাদের জমি লগ্নি করে পাওয়া অর্থ ও জমির মালিকানার কাগজপত্র দেন ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াস, মোঃ মাহামুদুল হক ও আঃ খালেক মেম্বারকে। চরের মানুষকে সহজ- সরল পেয়ে উক্ত ব্যক্তিগণ ভুয়া কাগজ ও খতয়ান তৈরী করে চরের জমি নিজেদের মালিকানা দাবী করে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় ৫ শতাধিক মাকিলদের মালিকানা অস্বীকার করে ৩ জনের নামে জমির খতিয়ান সৃজন করা হয়। প্রকৃত পক্ষে জমির মালিকানায় রয়েছেন ৫ শতাধিক ব্যক্তি। এসময় চর বৈরাগীয়ার বাসিন্দা আলাউদ্দিন, কামাল মেম্বার, মনির সাজি, আবু সাইদ বয়াতী উপস্থিত থেকে অভিযোগ করে বলেন, ভুমিদস্যু বাহিনীরা চরের উপর কু-নজর দেয়া শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চরের দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া ইলিয়াস,

মাহামুদল হক ও আঃ খালেকরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে বলে তারা দাবী করছে। কিন্তু তাদের মালিকানার সপক্ষে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। অন্যদিকে ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চকেট এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট যে অভিযোগ তারা তুলে ধরেছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমরা এই অবান্তর অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরদিকে চকেট জামাল, আলাউদ্দিন, কামাল মেম্বার, মনির সাজি ও আবু সাইদ বয়াতীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ এনে শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের কুইন আইল্যান্ড রেস্টুরেন্টের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইলিয়াস, মাহামুদল হক ও আঃ খালেকরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা

উল্লেখ করেছে যে, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে; কিন্তু তারা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে। এদিকে প্রশাসনের কাছে যে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন তার কোন প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে কি না তা জানতে চাইলে সংবাদকর্মীদের তারা কোন কাগজ কিংবা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেসন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

ভোলার দৌলতখানের মদনপুরের চর বৈরাগিয়া মৌজায় জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ

Update Time : ০৭:৫১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

জাল জালিয়াতি করে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চর বৈরাগিয়া মৌজায় ভুয়া খতিয়ান খুলে জমি দখলের পায়তারার করছে একটি অসাধু মহল এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে জমির প্রকৃত মালিকরা। রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ১৪ ঘর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রকৃত জমির মালিকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চর বৈরাগিয়া মৌজার শতাধিক বাসিন্দা।

সম্মেলনে বৈরাগিয়া মৌজার জমি মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৫ শতাধিক সদস্য তাদের জমি লগ্নি করে পাওয়া অর্থ ও জমির মালিকানার কাগজপত্র দেন ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াস, মোঃ মাহামুদুল হক ও আঃ খালেক মেম্বারকে। চরের মানুষকে সহজ- সরল পেয়ে উক্ত ব্যক্তিগণ ভুয়া কাগজ ও খতয়ান তৈরী করে চরের জমি নিজেদের মালিকানা দাবী করে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় ৫ শতাধিক মাকিলদের মালিকানা অস্বীকার করে ৩ জনের নামে জমির খতিয়ান সৃজন করা হয়। প্রকৃত পক্ষে জমির মালিকানায় রয়েছেন ৫ শতাধিক ব্যক্তি। এসময় চর বৈরাগীয়ার বাসিন্দা আলাউদ্দিন, কামাল মেম্বার, মনির সাজি, আবু সাইদ বয়াতী উপস্থিত থেকে অভিযোগ করে বলেন, ভুমিদস্যু বাহিনীরা চরের উপর কু-নজর দেয়া শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চরের দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া ইলিয়াস,

মাহামুদল হক ও আঃ খালেকরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে বলে তারা দাবী করছে। কিন্তু তাদের মালিকানার সপক্ষে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। অন্যদিকে ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চকেট এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট যে অভিযোগ তারা তুলে ধরেছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমরা এই অবান্তর অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরদিকে চকেট জামাল, আলাউদ্দিন, কামাল মেম্বার, মনির সাজি ও আবু সাইদ বয়াতীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ এনে শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের কুইন আইল্যান্ড রেস্টুরেন্টের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইলিয়াস, মাহামুদল হক ও আঃ খালেকরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা

উল্লেখ করেছে যে, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে; কিন্তু তারা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে। এদিকে প্রশাসনের কাছে যে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন তার কোন প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে কি না তা জানতে চাইলে সংবাদকর্মীদের তারা কোন কাগজ কিংবা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।