সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সরকারি খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে এক ব্যক্তি নিহত এবং অন্তত: ২০জন আহত হয়েছেন। উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের বড়ধুনাইল গ্রামে গত দুইদিন যাবত এ অবস্থা বিরাজ করছে। নিহত মদিন মোল্লা (৫৫) ওই গ্রামের মৃত সগির মোল্লার ছেলে। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার পদ স্থগিত এবং যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার পদ স্থগিতের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা বিএনপি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বড়ধুনাইল গ্রামে সরকারী খাসজমি দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র জাফর গ্রুপ ও যুবদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্ধ চলে আসছিল। এরই জেরধরে শুক্রবার রাতে রাজ্জাক গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ঘেরাও করে রাখে। এতে ভয়ে ওই সব বাড়ির ছেলেরা পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় শনিবার সকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় অন্তত: ১০টি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গেলে অন্তত: ১৫জন নারী-পুরুষ আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এরই জেরধরে রবিবার সকালে ওই সব বসতবাড়িতে আবারো হামলা করা হয়। এতে বাধা দিতে গেলে জাফর গ্রুপের মদিন মোল্লাকে তার নিজ বাড়ির সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় আরো অন্তত: ৫জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা করেন।
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়েছে। মদিন মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুপবাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ও সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল হালিম সেখের পদ স্থগিত এবং ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সেখ ও একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনজাজাম সেখের দলীয় পদ স্থগিতের জন্য জেলা যুবদল ও ছাত্রদলকে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা বিএনপি। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।