কুড়িগ্রামের ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষ জমির খাজনা আদায়ে জাঁকজমক আয়োজনে হালখাতার আয়োজন করেছে । গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য গরু ও ঘোড়ার গাড়ির ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো অফিস চত্ত্বরে চেয়ার টেবিল বসিয়ে মিষ্টি ও মোয়া মুড়ি খাওয়ানো হচ্ছে এলাকার জমি মালিকদের।
মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল সকালে নাগেশ্বরী উপজেলা ভূমি অফিস চত্ত্বরে ফিতা কেটে শুভ হালখাতার উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ। উপজেলা প্রশাসনের এমন জাঁকজমক পূর্ণ হালখাতায় এসে হয়রানি ও দালাল বিহীন খাজনা পরিশোধ করতে পেরে উচ্চসিত এলাকার জমি মালিকরা।
নাগেশ্বরী পৌর বাসিন্দা সোহরাব আলী জানান, ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে দালালের মাধ্যমে অনেক হয়রানির শিকার হতে হতো। কিন্ত এমন আয়োজনে দালাল ছাড়াই সরাসরি খাজনা দিলাম। পাশাপাশি পেলাম বাড়তি মেহমানদারি।
খাজনা দিতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, অতি সহজে জমির খাজনা দিয়ে মোয়া, মুড়িসহ মিষ্টি খেতে পারলাম। এমন আয়োজন প্রতি বছর করার আবেদন জানান তিনি।
নাগেশ্বরী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, অতীতে হালখাতার মাধ্যমে জমির খাজনা উঠানো হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই প্রচলন বন্ধ হয়ে যায়। অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উৎসাহের সাথে খাজনা আদায় এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে এ হালখাতার আয়োজন।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, পহেলা বৈশাখের পরদিন নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি ভূমি অফিসে একযোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় হালখাতা। অনেক সারা পাওয়া গেছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে।