Dhaka ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোরশায় জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর পোরশায় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি ওয়াক্ফ ষ্টেটের দাবী করে জবর দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পোরশা সদরের গোলাম মোস্তফা শাহ্ এর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আসাদ শাহ্ এর ছেলে ছাইদ শাহ্ লিখিত বক্তব্যে বলেন পোরশার আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ একজন জমিদার ছিলেন। আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ ২৪/০৪/১৯২১ইং তারিখে ১৯৮৭নং দলিলে তার ১৪২.২৩একর জমি ওয়াক্ফ রেজিষ্ট্রি করে দেন। উপজেলার সুহাতী মৌজায় সিএস ৮০নং খতিয়ানে ১৪২.২৩একর সম্পত্তি আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ এর অবিভক্ত বাংলা প্রদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের অধিন সরাসরি রেভিনিউ প্রদেয় জমিদারী স্বত্বে স্বত্বদখলীয় সম্পত্তি থাকা কালে সিএস জরিপের রেকর্ডের পূর্বে গত ইং ০৮/০৪/১৯২১ তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত ১৯৮৭নং ওয়াক্ফনামা দলিল মূলে উক্ত সম্পত্তি আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ ওয়াক্ফ ষ্টেট স্থাপন করে তার নামে হস্তান্ত করেন এবং গত সিএস জরিপের চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তুত হওয়ার পূর্বেই উক্ত ওয়াক্ফ ষ্টেট হতে ৫৬.৮২একর জমি আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ নিজেই মতোয়াল্লি হয়ে জীবিত থাকা অবস্থায় প্রজাপত্তন দেন।

আর সেগুলোই সিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানে প্রজাদের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। বাঁকী ৮৫.৪১একর পরবর্তী মোতয়াল্লি দলিলের শর্ত মোতাবেক সাইদ শাহ্ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট প্রজাপত্তন দেন এবং খাজনা আদায় করেন। দলিলের শর্ত মোতাবেক পরবর্তী মোতয়াল্লি সাইদ শাহ্ মৃত্যুর পর কাশেম শাহ্ মোতয়াল্লি নিযুক্ত হন। কাশেম শাহ্ বাংলা ১৩৫৫সন হতে বাংলা ১৩৬২সন পর্যন্ত প্রজাপত্তনের জমি বিভিন্ন প্রজাদের নিকট হতে খাজনা আদায় করেন। জমিদারী আইন বিলুপ্ত হওয়ার পর মোতয়াল্লি মোহাম্মদ কাশেম শাহ্ গত ১৩/১১/১৯৬৩ইং তারিখে ১২৭৮৭নং ডায়েরী মুলে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের অফিসে দরখাস্ত দিয়ে জমিদারী শর্তের সম্পত্তী বাংলা ১৩৬৩সনের ১বৈশাখ হতে হুকুম দখল দ্বারা সরকার খাস প্রজাদের নিকট হতে খাজনা গ্রহন করছেন। কাশেম শাহ্ মোতয়াল্লী থাকা অবস্থায় ৮৫.৪১একর জমি এসএ ও আরএস রেকর্ড বিভিন্ন প্রজাদের নামে হয়েছে এবং খাজনা সরকার নিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাইদ শাহ্ আরও বলেন, উপজেলার সুহাতি মৌজায় ১৪২.২৩একর জমির মধ্যে ১১৪.৭৪একর জমি বিভিন্ন লোক প্রজাপত্তন নিয়ে আজ পর্যন্ত সকলেই ভোগ দখল করে আসছেন। আরএস ৬৫নং খতিয়ানে ২৭.৪৯একর আসাদ শাহ্ নামে রেকর্ড হয়েছে এবং সরকারের নিকট নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু গত ২০১৪ইং সনে সাবেক সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে শরিফউদ্দীন শাহ্ (গেনা হুজুর) ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমি দাবী করে জোর পূর্বক  সৈরাচারী কায়দায় আমাদের চাষাবাদকৃত ধান জমি থেকে কেটে নিয়ে বাড়ির পাশে খলায় রাখা পালাদার ধান লুটপাট করে নিয়ে যায়। এবং সেই থেকে তারা আওয়ামী লীগ থাকা অবস্থায় জোর করে আমাদের জমির ধান লুটপাট করে খেয়ে এসেছে। গেনা হুজুর মৃত্যুর পর এখন স্থানীয় নজরুল ইসলাম শাহ্ ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমি দাবী করে জবর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে আসাদ শাহ্ এর ছেলে মোস্তফা শাহ্ সহ তাদের সকল ওয়ারিশগণ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ব্রহ্মপুত্র নদে ‌নি‌খোঁজ জে‌লের মর‌দেহ উদ্ধার

পোরশায় জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০২:০০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

নওগাঁর পোরশায় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি ওয়াক্ফ ষ্টেটের দাবী করে জবর দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পোরশা সদরের গোলাম মোস্তফা শাহ্ এর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আসাদ শাহ্ এর ছেলে ছাইদ শাহ্ লিখিত বক্তব্যে বলেন পোরশার আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ একজন জমিদার ছিলেন। আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ ২৪/০৪/১৯২১ইং তারিখে ১৯৮৭নং দলিলে তার ১৪২.২৩একর জমি ওয়াক্ফ রেজিষ্ট্রি করে দেন। উপজেলার সুহাতী মৌজায় সিএস ৮০নং খতিয়ানে ১৪২.২৩একর সম্পত্তি আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ এর অবিভক্ত বাংলা প্রদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের অধিন সরাসরি রেভিনিউ প্রদেয় জমিদারী স্বত্বে স্বত্বদখলীয় সম্পত্তি থাকা কালে সিএস জরিপের রেকর্ডের পূর্বে গত ইং ০৮/০৪/১৯২১ তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত ১৯৮৭নং ওয়াক্ফনামা দলিল মূলে উক্ত সম্পত্তি আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ ওয়াক্ফ ষ্টেট স্থাপন করে তার নামে হস্তান্ত করেন এবং গত সিএস জরিপের চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তুত হওয়ার পূর্বেই উক্ত ওয়াক্ফ ষ্টেট হতে ৫৬.৮২একর জমি আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ নিজেই মতোয়াল্লি হয়ে জীবিত থাকা অবস্থায় প্রজাপত্তন দেন।

আর সেগুলোই সিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানে প্রজাদের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। বাঁকী ৮৫.৪১একর পরবর্তী মোতয়াল্লি দলিলের শর্ত মোতাবেক সাইদ শাহ্ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট প্রজাপত্তন দেন এবং খাজনা আদায় করেন। দলিলের শর্ত মোতাবেক পরবর্তী মোতয়াল্লি সাইদ শাহ্ মৃত্যুর পর কাশেম শাহ্ মোতয়াল্লি নিযুক্ত হন। কাশেম শাহ্ বাংলা ১৩৫৫সন হতে বাংলা ১৩৬২সন পর্যন্ত প্রজাপত্তনের জমি বিভিন্ন প্রজাদের নিকট হতে খাজনা আদায় করেন। জমিদারী আইন বিলুপ্ত হওয়ার পর মোতয়াল্লি মোহাম্মদ কাশেম শাহ্ গত ১৩/১১/১৯৬৩ইং তারিখে ১২৭৮৭নং ডায়েরী মুলে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের অফিসে দরখাস্ত দিয়ে জমিদারী শর্তের সম্পত্তী বাংলা ১৩৬৩সনের ১বৈশাখ হতে হুকুম দখল দ্বারা সরকার খাস প্রজাদের নিকট হতে খাজনা গ্রহন করছেন। কাশেম শাহ্ মোতয়াল্লী থাকা অবস্থায় ৮৫.৪১একর জমি এসএ ও আরএস রেকর্ড বিভিন্ন প্রজাদের নামে হয়েছে এবং খাজনা সরকার নিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাইদ শাহ্ আরও বলেন, উপজেলার সুহাতি মৌজায় ১৪২.২৩একর জমির মধ্যে ১১৪.৭৪একর জমি বিভিন্ন লোক প্রজাপত্তন নিয়ে আজ পর্যন্ত সকলেই ভোগ দখল করে আসছেন। আরএস ৬৫নং খতিয়ানে ২৭.৪৯একর আসাদ শাহ্ নামে রেকর্ড হয়েছে এবং সরকারের নিকট নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু গত ২০১৪ইং সনে সাবেক সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে শরিফউদ্দীন শাহ্ (গেনা হুজুর) ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমি দাবী করে জোর পূর্বক  সৈরাচারী কায়দায় আমাদের চাষাবাদকৃত ধান জমি থেকে কেটে নিয়ে বাড়ির পাশে খলায় রাখা পালাদার ধান লুটপাট করে নিয়ে যায়। এবং সেই থেকে তারা আওয়ামী লীগ থাকা অবস্থায় জোর করে আমাদের জমির ধান লুটপাট করে খেয়ে এসেছে। গেনা হুজুর মৃত্যুর পর এখন স্থানীয় নজরুল ইসলাম শাহ্ ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমি দাবী করে জবর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে আসাদ শাহ্ এর ছেলে মোস্তফা শাহ্ সহ তাদের সকল ওয়ারিশগণ উপস্থিত ছিলেন।