মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী প্রতিনিধি (কুড়িগ্রাম): 
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বৈশাখী মেলায় অশ্লীল নাচ-গানের ভিডিও করায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে জামাতকর্মী ও যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবুল হাশেম (৫০) ও তার পুত্র তাহমীদ আরমান জীম (১৮) কে পিটিয়ে আহত করলেন বন্দবেড় ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ সহ তার অনুশারীরা। এতে দুজনেই মারাত্মক ভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত ৭টায় রৌমারী সদর ইউনিয়নের মির্জপাড়া বৈশাখী মেলা চত্বরে। এঘটনায় রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত পরিবার।
পুলিশ ও নির্যাতিত পরিবার সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ভেকু ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ট্রাক্টর (কাকড়া) মাধ্যমে বহন করে আসছে। এ কারনে সরকারি পাঁকা-কাচা রাস্তা নষ্ট সহ অসংখ্য সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। এতে করে কলেজ শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। এনিয়ে প্রভাষক আবুল হাশেম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অবৈধ ভেকু ও ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের দাবী করে আসছে এবং তার গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টর চলাচলে বাধা দেন। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বন্দবেড় ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাক্টর সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ। প্রভাষককে নানা ভাবে হুমকি-ধামকিও দিতো আজিজ।
আহত প্রভাষক আবুল হাশেম বলেন, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে রৌমারী বাজারে যাচ্ছিলাম। এসময় মেলার পেন্ডেল থেকে অশালীন গান ও অশ্লীল-নাচ দেখতে পাই এবং ওই মঞ্চের নাচ-গানের ভিডিও তুলতে ছিলেন আমার ছেলে তাহমীদ আরমান জীম। ভিডিও তোলা দেখে বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ ক্ষেপে যান এবং মাইকে পিটানোর ঘোষানা দেন। তার নির্দেশ্যেই ৪০/৫০ জন ছেলে চড়াও হয় এবং এলোপাথারি মারপিট করতে থাকে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধীকবার ফোন করেও তার সাথে কথাবলা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ জামাত ইসলাম রৌমারী উপজেলা শাখা’র আমির হায়দার আলী বলেন, বিএনপি নেতার এহন আচরণে আমি তীব্রনিন্দা জ্ঞাপন করেছি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
