‘গঙ্গাবুড়ি’ প্রকল্পের দুই বছরের সফল যাত্রার পরিসমাপ্তি একযোগে উদযাপন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্যোটে-ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, এবং বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন। নদীর সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহ্যভিত্তিক এই শিল্প প্রকল্পটি সমসাময়িক শিল্পকর্মের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা নদীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরেছে। আগামী ২৪ এপ্রিল গ্যোটে-ইন্সটিটিউটে একটি বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ও আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ০২ মে হাজারীবাগে অবস্থিত বৃহত্ত্ব আর্ট স্পেসে আয়োজিত এক্সিবিশনের মাধ্যমে এই যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে।
গ্যোটে ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের অর্থায়নে প্রকাশিতব্য ;গঙ্গাবুড়ি একটি শিল্পভিত্তিক গবেষনাধর্মী বই, যার মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা, নদীভিত্তিক পেশাজীবী, এবং প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাঝে একটি চলমান সংলাপ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে; যা পুরান ঢাকার নদীর তীরের দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে।
অপরদিকে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সার্বিক সহায়তা এবং অর্থায়নে আয়োজিত এক্সিবিশন পাল: ভূমি, জল, পবন প্রকল্পটির দুইবছরের শৈল্পিক যাত্রা ও সাফল্য কে তুলে ধরবে, যা দর্শকদের দেবে একটি সমৃদ্ধ ও সৃজনশীল অভিজ্ঞতা। নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি ইউনিক (EUNIC- European Union National Institutes for Culture) বাংলাদেশের ঐকান্তিক সমর্থন হিসেবে এই আয়োজন দুটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গঙ্গাবুড়ি-রিভার হেরিটেজ প্রজেক্টটির সূচনা হয় ২০২৩-এ। বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় এই প্রকল্পটিতে সহযোগিতা করে ইউনিক বাংলাদেশ ক্লাস্টার সদস্য- ব্রিটিশ কাউন্সিল, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ইইউ ডেলিগেশন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশে অবস্থিত ইতালি এবং স্পেন দূতাবাস। ২০২৪-এ ব্রিটিশ কাউন্সিলের একক অর্থায়নে প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন – আহমেদ রাসেল, আমিনুল ইসলাম আশিক, অনন্যা মেহপার আজাদ, কাজী সাইদুল করিম তুসো, মো. খাইরুল আলম সাদা, নুর এ আলা সিদ্দিকী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী; এবং দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন – দিনার সুলতানা পুতুল, মোজাহিদ মুসা, বিলাস মণ্ডল, এলোদী গুইনার, মইনুদ্দিন মনি ও রূপকল্প চৌধুরী। শিল্পীদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন পারফরমেন্স আর্টিস্ট – ফারাহ নাজ মুন, ইয়াসমিন জাহান নুপূর, জয়দেব রোয়াজা এবং নগর-লোকজ শিল্পী মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু এবং সৈয়দ আহমেদ হোসেন।
শিল্পী কফিল আহমেদের বিখ্যাত গান গঙ্গাবুড়ি হতে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়। প্রকল্পটির সার্বিক নির্দেশনা ও পরিচালনায় ছিলেন শেহজাদ শাহরিয়ার চৌধুরী এবং বিশ্বজিৎ গোস্বামী।