Dhaka ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংকটের অজুহাতে হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা

সরবরাহ কমে যাওয়ায় তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০- ১৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে বন্দরের ব্যাসায়ীরা জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ রয়েছে। আর কিছুদিন পর কোরবানীর ঈদ। ঈদে দাম নিয়ন্ত্রহীন হয়ে পড়বে। তাই এখনই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া দরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) হিলি বন্দরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে আগের তুলনায় বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তিনদিন আগে হিলি বাজারে  ৪০- ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশীয় পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে  ৫৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানেও দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। সে হিসেবে এখন দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবারক হোসেন জানান, পাইকারী পর্যায়ে আগের তুলনায় মণ প্রতি ৪শ’ টাকা দাম বেড়েছে। ১৪শ’ টাকার দরে যে পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে কিনতেন এখন ১৮শ’ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

আরেক বিক্রেতা শাকিল হোসেন জানান, এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। সরবরাহ কমে সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে তাই দাম বাড়তির দিকে।

কেন কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে জানতে চাইলে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। গত কয়েক মাস ধরে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। তিন দিন আগে দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। এখন তা বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। এর মূল কারণ সরবরাহ কম। যত দিন যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।

হিলি স্থলব›রের ব্যাবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজ সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। আসন্ন কোরবানী ঈদে পেঁয়াজের দাম অস্থির হয়ে পড়বে। তাই সরকারের উচিত এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া। এতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে

সংকটের অজুহাতে হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা

জন দেখেছেন : ০৭:৩৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সরবরাহ কমে যাওয়ায় তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০- ১৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে বন্দরের ব্যাসায়ীরা জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ রয়েছে। আর কিছুদিন পর কোরবানীর ঈদ। ঈদে দাম নিয়ন্ত্রহীন হয়ে পড়বে। তাই এখনই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া দরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) হিলি বন্দরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে আগের তুলনায় বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তিনদিন আগে হিলি বাজারে  ৪০- ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশীয় পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে  ৫৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানেও দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। সে হিসেবে এখন দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবারক হোসেন জানান, পাইকারী পর্যায়ে আগের তুলনায় মণ প্রতি ৪শ’ টাকা দাম বেড়েছে। ১৪শ’ টাকার দরে যে পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে কিনতেন এখন ১৮শ’ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

আরেক বিক্রেতা শাকিল হোসেন জানান, এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। সরবরাহ কমে সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে তাই দাম বাড়তির দিকে।

কেন কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে জানতে চাইলে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। গত কয়েক মাস ধরে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। তিন দিন আগে দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা। এখন তা বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। এর মূল কারণ সরবরাহ কম। যত দিন যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।

হিলি স্থলব›রের ব্যাবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজ সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। আসন্ন কোরবানী ঈদে পেঁয়াজের দাম অস্থির হয়ে পড়বে। তাই সরকারের উচিত এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া। এতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।