Dhaka ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফিল লেয়ার ফার্মে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার মুরগি পুড়লো

যশোর সদরে অবস্থিত আফিল লেয়ার ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডে একটি আধুনিক শেডের প্রায় ৫০ হাজার লেয়ার মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২০ কোটি টাকার বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ৫টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৪টা ২৫ মিনিটে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান মেহেদী জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, কিন্তু প্রচণ্ড বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শেডের সিলিংয়ের মাধ্যমেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।”

ফার্মের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক আসাদুল হক বলেন, “আমাদের শেডগুলো অত্যাধুনিক। এই শেডে মোট ৬টি ইউনিটে ৪০০ ফুট লম্বা ১৬টি খাঁচা ছিল। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে একটি ইউনিটও রক্ষা করা যায়নি। এতে প্রায় ৫০ হাজার মুরগি পুড়ে মারা গেছে এবং আমাদের ২০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে কর্মরত স্টাফরা প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করলেও অগ্নি নির্বাপণ সম্ভব হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।”

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, “আগুনের সূত্রপাতের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত না হলেও, প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটকেই দায়ী করা হচ্ছে। প্রকৃত তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনা নগরীর রুপসা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ

আফিল লেয়ার ফার্মে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার মুরগি পুড়লো

Update Time : ০৯:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

যশোর সদরে অবস্থিত আফিল লেয়ার ফার্মে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডে একটি আধুনিক শেডের প্রায় ৫০ হাজার লেয়ার মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২০ কোটি টাকার বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ৫টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৪টা ২৫ মিনিটে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান মেহেদী জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, কিন্তু প্রচণ্ড বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শেডের সিলিংয়ের মাধ্যমেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।”

ফার্মের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক আসাদুল হক বলেন, “আমাদের শেডগুলো অত্যাধুনিক। এই শেডে মোট ৬টি ইউনিটে ৪০০ ফুট লম্বা ১৬টি খাঁচা ছিল। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে একটি ইউনিটও রক্ষা করা যায়নি। এতে প্রায় ৫০ হাজার মুরগি পুড়ে মারা গেছে এবং আমাদের ২০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে কর্মরত স্টাফরা প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করলেও অগ্নি নির্বাপণ সম্ভব হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।”

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, “আগুনের সূত্রপাতের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত না হলেও, প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটকেই দায়ী করা হচ্ছে। প্রকৃত তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”