সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছার বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার এসব বিষয়ে অভিযোগ করেন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা।
জানা যায়, আওয়ামী সরকার শাসনামলে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেসা গত ২ বছর ধরে ক্লাষ্টারের প্রায় সব স্কুলের উন্নয়ন মুলক কাজে তিনি নিজেই কন্ট্রাক্টারি করছেন। উন্নয়নের এসব কাজ কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে না দিয়ে নিজ পছন্দের লোক দিয়ে আটিষ্ট সহ সকল কাজে ভাড়া করা লোক দিয়ে করিয়েছেন।এতে করে বিশাল অংকের টাকা আত্বাসাৎ করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি দেশের কোন বিক্ষাত লেখক, দার্শনিক বা গভর্নর না না হয়ে ও প্রায় সব স্কুলের দেয়াল সজ্জিত করনের নামে নিজের নামে বিভিন্ন বানী প্রচার করে চলেছেন। যা সরকারের অর্থ অপচয়ের সামিল এবং বিধি লঙ্ঘনের শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
শিক্ষকরা জানান,উন্নয়নের নামে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা ২০২৪ এর তৃতীয় প্রান্তিক পরিক্ষায় ১ম ও ২ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সাময়িক মুল্যায়ন পরিক্ষার নামে এক সেট প্রস্ন ফটোকপি করে প্রতিটি স্কুল প্রধানের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করেছেন।অথচ ওই সময় সরকার প্রধান ১ম ও ২ম শ্রেনীর সামষ্টিক মুল্যায়নে ফি নেয়ার কোন বিধান রাখেননি। জেলার উর্ধতন শিক্ষা কর্মকর্তাদের তোয়াক্কা না করে তিনি একটার পর একটা দুর্নীতি করেই চলেছেন।
অন্য দিকে ওই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তার তার স্বামীর দ্বারা স্কুলে স্কুলে নোট গাইড বই সরবরাহ করে চলেছেন। ওই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই শিক্ষকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
শহরের দাদা আর্ট বলেন,এসব স্কুলে আর্ট করার কথা আমার কিন্তু সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা কম মুল্যে তার পছন্দের লোক দিয়ে আর্ট করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাত করেছেন।
বিপু নামের এক শিক্ষক জানান, স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত ও পরামর্শ নেয়ার কথা কিন্তু সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা উর্ধতন কর্মকর্তাকে তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ছাড়াই নিজ স্বার্থে তার পছন্দের লোক দিয়ে স্কুলে রং, আর্ট ও দেয়ালে দেয়ালে বানী লিখে ছলেছেন। স্কুলের উন্নয়নে যা বরাদ্দ হয় তার অর্ধেক অর্থ আত্মসাত করা হয় বলে জানান তিনি। আওয়ামী সমর্থক ওই কর্মকর্তা বর্তমানে ও দাপটের সাথে দুর্নীতি অনিয়ম করেই চলেছেন।বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা সাংবাদিকের সাথে কোন কথাই বলবেন না বলে জানান তিনি।
তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা স্কুলের শৃঙ্খলা লংঘন ও শিক্ষকদের সাথে অসৎ আচরন করছেন তা আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। তিনি যা করছেন তা আইন বিরোধী। স্কুলের উন্নয়নে আমার সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা বা পরামর্শ নেননা তিনি। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।