সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের উপর হামলা ও হাতুড়ে দিয়ে পিটিয়ার গুরুত্ব আহত করার এতে বিএনপি’র বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রেক্ষিতের জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বিকাল সোয়া পাঁচটার সময় জেলা জামাতের কার্যালয় মিলন অনুষ্ঠিত হয় একটা জেলা জামাতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসের সেরা সদস্য মাওলানা শাহিনুর আলম লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান,জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল একটি অনাকাংখিত, অরাজনৈতিক বিষয়কে নিয়ে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে।
তিনি জানান,গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধায় উল্লাপাড়া পৌর বাস টার্মিনালে ইজারা গ্রহিতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেন এর সাথে চাঁদা উত্তোলন এর ঘটনাকে কেন্দ্র
করে ইজারা গ্রহিতা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হাফিজুল ও তার সাথে থাকা ৫/৬ জনকে আজাদ হোসেন এবং তার সংগে থাকা ১৫০/২০০ জন তাদেরকে বেদম প্রহার করে।পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরদিন শুক্রবার রামকান্তপুর
গ্রামবাসীর বিভিন্ন মতের জনগন এ ঘটনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুমার নামাযের পর আজাদ হোসেনের উপরে আক্রমন করে আহত
করে।
ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয় জামায়াতের একজন কর্মী হাফিজুল ঘটনার সাথে জড়িত আছে।
এ কথা জানার পর আমি নিজে উল্লাপাড়া সেনা ক্যাম্পে গিয়ে উক্ত কর্মীকে আইনের হাতে শোপর্দ করি। যা বাংলাদেশের রাজনিতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা।উল্লাপাড়ার ঘটনা ছিল ব্যক্তিগত ব্যবসা ও চাদাবাজি সংশ্লিষ্ট। সুতরাং আমরা রাজনৈতিক রুপ দেইনি। প্রথমে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় দুস্কৃতিকারকরা ঘটনার সাথে জড়িত। কিন্তু কিছুক্ষন পর উক্ত ঘটনাকে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে জামায়াতের
উপর দায় চাপানো হয় ।
এরপরই বিএনপি উল্লাপাড়ায় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। বাঙলা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতিমাওলানা আমিনুল ইসলাম সহ ৮/১০ জামায়াত কর্মীকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। বড়হর ইউনিয়নের ২টি অফিস ভাংচুর করে।
গতকাল জেলা শহরে ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিল থেকে ধর ধর শিবির ধর ধইরা ধইরা জবাই কর শ্লোগান দেওয়া হয় যা ফৌজদারী অপরাধের শামিল । শুধু তাই নয় রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ কালেক্টরের সামনে জেলা বিএনপির সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। যা কারো জন্যই শুভ হবে না বরং ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে উৎসাহিত করবে। আমরা এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রনোদিত রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি ।
তিনি আরও জানান, উল্লাপাড়া উপজেলায় সংঘটিত ঘটনা অরাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত। এ ঘটনার সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নাই বরং বিএনপির দায়ের করা মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ আসামীই বিএনপির রাজনিতির সাথে জড়িত। এমন সুস্পষ্ট ঘটনাকে জামায়াতের উপর চাপানো উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও অনভিপ্রেত এবং ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর নিজেদের কৃতকর্ম আড়াল করার জন্য রাজনৈতিক ভাবে ঘটনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সহাবস্থানের লক্ষে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকাতে বিএনপির প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামাতের আমের অধ্যাপক শাজাহান আলী, মাওলানা অধ্যাপক আব্দুস সালাম নায়েবে আমির,অধ্যাপক শাহিনুল ইসলাম সহকারী সেক্রেটারি সিরাজগঞ্জ জেলা জামাত, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ পৌর জামাতের আমির, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলহাজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ সহ ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামীম রেজা প্রমখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা জামাতের আমির বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন রাজনৈতিক সহঅবস্থান চাই এবং শান্তি বজায় রাখতে একসাথে কাজ করতে সহযোগী রাজনৈতিক বন্ধু দল-বিএনপি কোন প্রকার পরিবেশ অস্থিতিশীল করার মতো কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড গ্রহণ না করে সেজন্য তিনি আবার অনুরোধ করেন। একই সাথে উল্লাপাড়ায় গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজুল ইসলাম তাদের দলীয় কোন পদে নেই বলে দাবি করেন। তবে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য ইতিমধ্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের জানান।