রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রীকে মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদে করায় আকরাম হোসেনকে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী নান্টু (২৮) ও খোকন মিয়া (২৮) নামে দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব। মামলা দায়েরের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের নওগাঁর সদর উপজেলার রামরায়পুর আড়ারাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার পূর্বরাত সোয়া ৮টার দিকে তাদের আটক করে।
আটককৃত নান্টু রাজশাহীর তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে ও তার সহযোগী খোকন মিয়া মৃত. আবদুস ছাত্তারের ছেলে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, মৃত আকরাম হোসেন (৫২) পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। তার মেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে তার মেয়ে প্রাইভেট পড়া শেষ করে তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামী নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে গালিগালাজ করে উত্তক্ত করে। সে তাদেরকে কিছু না বলে বাসায় গিয়ে বাবাকে গালিগালাজের কথা জানায়। তার বাবা নান্টুর বাবাকে নান্টুর উত্তক্ত করার বিষয়টি জানালে এতে নান্টু আরও চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এর জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে তালাইমারি শহিদ মিনারের পাশে জনৈক মনির বাড়ির সামনে রাস্তার উপর দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় তার ভাই ইমাম হোসেন অনন্তকে নান্টু ও তার সহযোগী ৯ থেকে ১০ জন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে ও আক্রমন করে এলোপাথাড়ি মারধর করে। তিনি প্রাণ বাচাঁনোর তাগিদে চিৎকার শুরু করলে টের পেয়ে তার বাবা আকরাম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তারা তাকেও মারধর করা শুরু করে। ঘটনার একপর্যায়ে আকরামের মাথায় ইট দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে বোয়ালিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজের নির্দেশনায় তাদেরকে আটক করে।
র্যাব আরও জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে তাদেরকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।