Dhaka ১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেড়ে দেয়া হয়েছে ভোলায় ইন্ট্রাকোর আটকে রাখা ৮টি গ্যাসভর্তি গাড়ি

ছেড়ে দেয়া হয়েছে ভোলায় ইন্ট্রাকোর আটকে রাখা ৮টি গ্যাসভর্তি গাড়ি (কাভার্ড ভ্যান)। রোববার রাত ১২টার দিকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব-দ্বীপ ছাত্রকল্যাণ সংসদের নেতারা। ভোলায় পাওয়া গ্যাস দিয়ে জেলার উন্নয়নসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আটক ইন্ট্রকো কোম্পানির এলপিজি গ্যাসভর্তি ৮টি গাড়ি আটকে রেখেছিল।

এ সময় আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিও দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ভোলার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কার্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতা লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটে বসবে। জানা গেছে, ভোলাবাসী ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। দাবিগুলো হলো-ভোলার গ্যাস ভোলার ঘরে ব্যবহার করতে হবে, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে, ইন্ট্রাকোর সঙ্গে করা অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে, ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে, ভোলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণ, ১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ব-দ্বীপ ছাত্রকল্যাণ সংসদের আহ্বায়ক রাহিম ইসলাম বলেন, ইন্ট্রাকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে রোববার রাত পর্যন্ত আমাদের ডাকে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মশাল মিছিল করে এবং ইন্ট্রাকোর ৮টি গ্যাসবাহী গাড়ি আটক রাখা হয়। পরে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এনে গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে উপর মহলের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত গ্যাস ভোলার বাইরে যাবে না।

রাহিম ইসলাম আরও বলেন, ফেসবুকে কিছু মানুষ আমাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে, আমরা নাকি টাকার বিনিময়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে চাই-গাড়িগুলো কেবল নিরাপত্তার স্বার্থে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করি।

আগামীর ভোলা সংগঠনের মুখ্য সংগঠক মীর মোশাররফ ওমি বলেন, ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে একটি বিশেষ আইনের কারণে, যা সরকারের স্বার্থে প্রণীত। অথচ অন্যান্য এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও ভোলায় তা চলছে। এখন যেহেতু সংসদ বন্ধ, তাই রাষ্ট্রপতিঅধ্যাদেশ জারি করে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব। এ সম্পর্কে ইন্ট্রাকোর ভোলা ডিপোর উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুন্নবী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আমাদের গাড়িগুলো ছেড়ে দিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমরা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

আত্রাইয়ে ইউপি মেম্বারসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

ছেড়ে দেয়া হয়েছে ভোলায় ইন্ট্রাকোর আটকে রাখা ৮টি গ্যাসভর্তি গাড়ি

Update Time : ০৬:১৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ছেড়ে দেয়া হয়েছে ভোলায় ইন্ট্রাকোর আটকে রাখা ৮টি গ্যাসভর্তি গাড়ি (কাভার্ড ভ্যান)। রোববার রাত ১২টার দিকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব-দ্বীপ ছাত্রকল্যাণ সংসদের নেতারা। ভোলায় পাওয়া গ্যাস দিয়ে জেলার উন্নয়নসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আটক ইন্ট্রকো কোম্পানির এলপিজি গ্যাসভর্তি ৮টি গাড়ি আটকে রেখেছিল।

এ সময় আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিও দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ভোলার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কার্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতা লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটে বসবে। জানা গেছে, ভোলাবাসী ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। দাবিগুলো হলো-ভোলার গ্যাস ভোলার ঘরে ব্যবহার করতে হবে, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে, ইন্ট্রাকোর সঙ্গে করা অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে, ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে, ভোলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণ, ১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ব-দ্বীপ ছাত্রকল্যাণ সংসদের আহ্বায়ক রাহিম ইসলাম বলেন, ইন্ট্রাকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে রোববার রাত পর্যন্ত আমাদের ডাকে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মশাল মিছিল করে এবং ইন্ট্রাকোর ৮টি গ্যাসবাহী গাড়ি আটক রাখা হয়। পরে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এনে গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে উপর মহলের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত গ্যাস ভোলার বাইরে যাবে না।

রাহিম ইসলাম আরও বলেন, ফেসবুকে কিছু মানুষ আমাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে, আমরা নাকি টাকার বিনিময়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে চাই-গাড়িগুলো কেবল নিরাপত্তার স্বার্থে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করি।

আগামীর ভোলা সংগঠনের মুখ্য সংগঠক মীর মোশাররফ ওমি বলেন, ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে একটি বিশেষ আইনের কারণে, যা সরকারের স্বার্থে প্রণীত। অথচ অন্যান্য এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও ভোলায় তা চলছে। এখন যেহেতু সংসদ বন্ধ, তাই রাষ্ট্রপতিঅধ্যাদেশ জারি করে ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব। এ সম্পর্কে ইন্ট্রাকোর ভোলা ডিপোর উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুন্নবী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আমাদের গাড়িগুলো ছেড়ে দিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমরা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখছি।