Dhaka ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভবদহ জলাবদ্ধতা সমাধানের যে উপায়টি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণকর আমরা সেপথেই হাঁটবো

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভবদহ এলাকার স্থায়ী জলবদ্ধতা সমস্যার সাময়িক কিছু উত্তরণ এবছর সম্ভব হয়েছে। আমরা এঅঞ্চলের ১৭ হাজার হেক্টর জমিকে জলাবদ্ধতামুক্ত করে বোরোধান চাষের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে কৃষকের আনন্দ-অনুভূতির প্রকাশ আমরা যেমন দেখছি, তেমনি এ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। ভবদহ জলাবদ্ধতা সমাধানের যে উপায়টি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণকর আমরা সেপথেই হাঁটবো।
উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল দুপুরে অভয়নগরের ভবদহ স্লুইস গেইট এলাকা পরিদর্শন শেষে ভবদহ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত চেষ্টায় আপাতত ১৭ হাজার হেক্টর জমিকে পানিমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে জটিল এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান আমাদেরকেই খুঁজতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলবে।
সাধারণ মানুষের ভাবনা ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার সামাধনে কাজ শুরু হবে। এবারের বর্ষামৌসুমে গতবছরের মতো দুর্ভোগ এড়াতে আমডাঙ্গা খাল, হরি, ভদ্রা, আপার ভদ্রা নদী খননের কাজ শুরু হবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকদের পানি সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের মূল্য যেন বাণিজ্যিক হারে দিতে না হয় সে ব্যবস্থা করার ফলে কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। জলাবদ্ধতার সময়ে এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় যাতে বন্ধ থাকে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ কয়েকজন উপদেষ্টা একসাথে এ এলাকা পরিদর্শন করায় জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণের সময় তাঁরা তাদের পরামর্শ তুলে ধরতে পারবেন। আমাদের সময়ে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কাজটা অন্তত শুরু করে দিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করি।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অভয়নগরের নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের সম্মেলনকক্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যা ও এর সম্ভাব্য সমাধান বিষয়ে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেসন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

ভবদহ জলাবদ্ধতা সমাধানের যে উপায়টি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণকর আমরা সেপথেই হাঁটবো

Update Time : ১১:৩২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভবদহ এলাকার স্থায়ী জলবদ্ধতা সমস্যার সাময়িক কিছু উত্তরণ এবছর সম্ভব হয়েছে। আমরা এঅঞ্চলের ১৭ হাজার হেক্টর জমিকে জলাবদ্ধতামুক্ত করে বোরোধান চাষের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে কৃষকের আনন্দ-অনুভূতির প্রকাশ আমরা যেমন দেখছি, তেমনি এ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। ভবদহ জলাবদ্ধতা সমাধানের যে উপায়টি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণকর আমরা সেপথেই হাঁটবো।
উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল দুপুরে অভয়নগরের ভবদহ স্লুইস গেইট এলাকা পরিদর্শন শেষে ভবদহ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত চেষ্টায় আপাতত ১৭ হাজার হেক্টর জমিকে পানিমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে জটিল এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান আমাদেরকেই খুঁজতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলবে।
সাধারণ মানুষের ভাবনা ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার সামাধনে কাজ শুরু হবে। এবারের বর্ষামৌসুমে গতবছরের মতো দুর্ভোগ এড়াতে আমডাঙ্গা খাল, হরি, ভদ্রা, আপার ভদ্রা নদী খননের কাজ শুরু হবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকদের পানি সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের মূল্য যেন বাণিজ্যিক হারে দিতে না হয় সে ব্যবস্থা করার ফলে কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। জলাবদ্ধতার সময়ে এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় যাতে বন্ধ থাকে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ কয়েকজন উপদেষ্টা একসাথে এ এলাকা পরিদর্শন করায় জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণের সময় তাঁরা তাদের পরামর্শ তুলে ধরতে পারবেন। আমাদের সময়ে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কাজটা অন্তত শুরু করে দিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করি।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অভয়নগরের নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের সম্মেলনকক্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যা ও এর সম্ভাব্য সমাধান বিষয়ে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাগণ উপস্থিত ছিলেন।