বগুড়ার নন্দীগ্রামে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিভিন্ন হাটবাজারের ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে এই উন্মুক্ত ডাক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে ইজারা প্রদান প্রক্রিয়া। ইজারার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিরা নিয়ম অনুযায়ী উন্মুক্ত ডাকে অংশগ্রহণ করে।
হাটবাজারগুলোর হলো-বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার হাট, নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের রনবাঘা হাট, ভাটরা ইউনিয়নের ভাগবজর মৌসুমী হাট, বৃন্দাবন বাজার, গোয়ালগাড়ী হাট, থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের চাতরাগাড়ী বাজার, ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল হাট ও চাকলমা হাট। উপজেলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের বৈশাখ মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হাটবাজারগুলোর ইজারা মুল্য হয়েছে, ধুন্দার হাট-৪লাখ ১৫ হাজার টাকা, রনবাঘা হাট- ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ভাগবজর মৌসুমী হাট- ২লাখ ৬০ হজার টাকা, বৃন্দাবন বাজার- ৬০ হাজার টাকা, গোয়ালগাড়ী হাট-১লাখ ১০ হাজার টাকা, চাতরাগাড়ী বাজার-১হাজার ৫শ টাকা, বিজরুল হাট-৯০ হাজার টাকা ও চাকলমা হাট-২লাখ ২৫ হাজার টাকা। উপজেলা হাটবাজার খাস আদায় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানুর উপস্থিতিতে এ উন্মুক্ত ডাক সম্পন্ন হয়।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোহান সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরদার ফজলুল করিম, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া, রেজাউল করিম কামাল ও আবুল কালাম আজাদ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, কোন অনিয়ম ছাড়াই ডাক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে হাটবাজারের ইজারা প্রদান সম্পন্ন করেছি। এতে সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনাও কার্যকর থাকবে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, ইজারা প্রাপ্তদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিয়ম ভঙ্গের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।