Dhaka ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের ভাটপিয়ারী এলাকায় যমুনা নদী ভাঙ্গন

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনা নদীতে ভাঙ্গন। অসময়ের এই ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে এলাকার ফসলী জমি। এতে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভাঙ্গন রোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে, এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

সরেজমিনে জানাগেছে,শুস্ক মৌসুমেই আকস্মিক ভাবে ভাঙ্গছে যমুনা নদী।  নদীতে একটু একটু করে পানি বাড়তেও শুরু করেছে। আর সেই সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ভাটপিয়ারী গ্রামে। নদীর পশ্চিম পাড়ে দেখা দিয়েছে এই ভাঙ্গন। ভাটপিয়ারী গ্রামে যমুনা নদীর পুর্বদিকে চর জেগে উঠায় নদীর ক্যানেল সৃষ্টি হয়ে পানির ¯্রােত আঘাত হানছে পশ্চিম পাড়ে। ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে কয়েক বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙ্গনে নদী এখন পশ্চিম তীর রক্ষা বাঁধের কাছে এসে পড়েছে। এলাকাবাসীরা বলছে এই ভাঙ্গন অব্যহৃত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে  হুমকীর মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা,পাঁচ ঠাকুরী সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিলীন হয়ে যাবে ফসলী জমি ঘরবাড়ী,গাছপালা,মসজিদ,মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। যমুনা নদীর এই ভাঙ্গনে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। তাই ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভাঙ্গনকবলিতদের।

স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম উদ্দিনের মতে বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামীগের নেতা কর্মিরা নদীর মাঝ থেকে জোর করে অবৈধ ভাবে শত শত নৌকা,ড্রেজার লাগিয়ে বালুকেটে উত্তোলন এবং বিক্রি করেছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে বালু বিত্রি করে। আজ সেই বালু কাটার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে ভাঙ্গনের কবলে পরে।

মহসিন খান নামে অপর বাসিন্দার মতে ভুট্টা,আখ,কলাই,বাদামসহ বিভিন্ন উফতি ফসরের জমি গত ১সডÍাহে বিলীন হয়েছে।চিন্তায় আছি এখন পানি বাড়লে কিহবে। তারমতে ওই সময় বালু কাটা বন্ধ বা নিসেধ করলে তাকে মারধর করা হতো। এখস বর্তশানে একটু বন্ধ আছে। কিন্তু আবার যে বালু উত্তোলন হবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বঅহী প্রকৌমলী মাঃ মোকলেছুর রহমান জানান,ইতোমধ্যে ভাঙ্গন রোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে,ভাঙ্গনকরলিত ভাটপিয়ারী এলাকায় বাল্কহেড় দিয়ে বালি এনে জিও ব্যাগে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে  ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি নদী বরাবর একটি ক্রসবার বাধ নির্মানের দাবী স্থানীয়দের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটো চালক ও স্কুলছাত্রীর

সিরাজগঞ্জের ভাটপিয়ারী এলাকায় যমুনা নদী ভাঙ্গন

Update Time : ১০:০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনা নদীতে ভাঙ্গন। অসময়ের এই ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে এলাকার ফসলী জমি। এতে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভাঙ্গন রোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে, এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

সরেজমিনে জানাগেছে,শুস্ক মৌসুমেই আকস্মিক ভাবে ভাঙ্গছে যমুনা নদী।  নদীতে একটু একটু করে পানি বাড়তেও শুরু করেছে। আর সেই সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ভাটপিয়ারী গ্রামে। নদীর পশ্চিম পাড়ে দেখা দিয়েছে এই ভাঙ্গন। ভাটপিয়ারী গ্রামে যমুনা নদীর পুর্বদিকে চর জেগে উঠায় নদীর ক্যানেল সৃষ্টি হয়ে পানির ¯্রােত আঘাত হানছে পশ্চিম পাড়ে। ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে কয়েক বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙ্গনে নদী এখন পশ্চিম তীর রক্ষা বাঁধের কাছে এসে পড়েছে। এলাকাবাসীরা বলছে এই ভাঙ্গন অব্যহৃত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে  হুমকীর মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা,পাঁচ ঠাকুরী সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিলীন হয়ে যাবে ফসলী জমি ঘরবাড়ী,গাছপালা,মসজিদ,মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। যমুনা নদীর এই ভাঙ্গনে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। তাই ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভাঙ্গনকবলিতদের।

স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম উদ্দিনের মতে বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামীগের নেতা কর্মিরা নদীর মাঝ থেকে জোর করে অবৈধ ভাবে শত শত নৌকা,ড্রেজার লাগিয়ে বালুকেটে উত্তোলন এবং বিক্রি করেছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে বালু বিত্রি করে। আজ সেই বালু কাটার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে ভাঙ্গনের কবলে পরে।

মহসিন খান নামে অপর বাসিন্দার মতে ভুট্টা,আখ,কলাই,বাদামসহ বিভিন্ন উফতি ফসরের জমি গত ১সডÍাহে বিলীন হয়েছে।চিন্তায় আছি এখন পানি বাড়লে কিহবে। তারমতে ওই সময় বালু কাটা বন্ধ বা নিসেধ করলে তাকে মারধর করা হতো। এখস বর্তশানে একটু বন্ধ আছে। কিন্তু আবার যে বালু উত্তোলন হবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বঅহী প্রকৌমলী মাঃ মোকলেছুর রহমান জানান,ইতোমধ্যে ভাঙ্গন রোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে,ভাঙ্গনকরলিত ভাটপিয়ারী এলাকায় বাল্কহেড় দিয়ে বালি এনে জিও ব্যাগে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে  ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি নদী বরাবর একটি ক্রসবার বাধ নির্মানের দাবী স্থানীয়দের।