Dhaka ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ

আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করছেন। এতে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ লোকের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর- কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রণ সেতু নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা ওই সেতু নির্মাণ করে। নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় পাঁচ বছরের মাথায় বীম ভেঙ্গে সেতু নরবরে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ওই নরবরে সেতু দিয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে ওই সেতুটি চলাচলের সম্পুর্ন অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।  ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার ওইখালে আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য আবু ছালেহ ও বাদল মল্লিকসহ কয়েকশত মানুষ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। বাঁধ নির্মাণ হলে তিন উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এ বাঁধ নির্মাণ  শেষ হলে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা তাদের পন্য নিয়ে অনায়াতে যাতায়াত করতে পারবে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাজে সিন্ধুক খালে আয়রণ সেতু নির্মাণ করেছেন। গত পাঁচ বছর আগে ওই সেতু অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। ওই সেতু চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় এলাকাবাসী মিলে খালে বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করেছি। বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে তিনটি উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলের পথ সুগম হবে। তিনি ওই খালে  সরকারীভাবে গাডার সেতু নির্মাণের দাবী জানান।

আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ওই খালে গাডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেও দ্রæত গতিতে কাজ শুরু করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

আমতলীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ

জন দেখেছেন : ০৯:২০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করছেন। এতে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ লোকের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর- কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রণ সেতু নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা ওই সেতু নির্মাণ করে। নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় পাঁচ বছরের মাথায় বীম ভেঙ্গে সেতু নরবরে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ওই নরবরে সেতু দিয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে ওই সেতুটি চলাচলের সম্পুর্ন অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।  ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার ওইখালে আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য আবু ছালেহ ও বাদল মল্লিকসহ কয়েকশত মানুষ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। বাঁধ নির্মাণ হলে তিন উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এ বাঁধ নির্মাণ  শেষ হলে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা তাদের পন্য নিয়ে অনায়াতে যাতায়াত করতে পারবে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাজে সিন্ধুক খালে আয়রণ সেতু নির্মাণ করেছেন। গত পাঁচ বছর আগে ওই সেতু অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। ওই সেতু চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় এলাকাবাসী মিলে খালে বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করেছি। বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে তিনটি উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলের পথ সুগম হবে। তিনি ওই খালে  সরকারীভাবে গাডার সেতু নির্মাণের দাবী জানান।

আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ওই খালে গাডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেও দ্রæত গতিতে কাজ শুরু করা হবে।