বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন এবার গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে। তিনি বলেন, এবার গরমে লোডশেডিং সীমিত পর্যায়ে রাখতে চাই। আমাদের প্রজেকশনে আছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। আমরা আশা করছি অনেকটা ম্যানেজ করতে পারবো। লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এটা স্বল্পমেয়াদের সরকার। জ্বালানির সব কিছুতে অনেক সময় লাগে। আমরা অগ্রাধিকার নিয়েছি বকেয়া পরিশোধের। বিল পেমেন্ট না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।
তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। লাইন লিকেজ ছিল সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। গ্যাস চুরির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এলএনজি আমদানি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে এনেছি। তবে আগামী বছর বকেয়া দিতে হবে না। শুধু কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। আগামী বছর ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে।
সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিটে কেউ অংশ নেয়নি, মিনিস্ট্রিতে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে গেলে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে।
জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ বিইআরসিকে দেওয়া হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে আছে, কারণ তেলের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায়। আবার আপনার বলতে পারেন তেলের দাম কমছে না কেন। এটার জন্য প্রতিবেশী দেশের দাম আর ভর্তুকির বিষয় থাকে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, বিপিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলার মোয়াজ্জেম প্রমুখ।