উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর চলনবিলে এবারও হয়েছে রসুনের বাম্পার ফলন। অনুকুল আবহাওয়া ফলন ভালো হওয়ার কারণে ৪টি জেলার সিমানা বেষ্টিত বৃহত্তর চলনবিলের কৃষকরাও এবার খুশি। তবে কৃষি বিভাগ বলছে নিয়মিত মনিটরিং এবং সঠিক পরামর্শ প্রদানের কারণে চলনবিলে রসুনের আবাদ ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় কৃষক ২৫ থেকে ২৭ মন রসুন পাওয়াসহ অধিক লাভের আশা করছেন তারা।
সরেজমিন জানাগেছে,উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ,পার্শবর্তি পাবনা,নাটোর ও বগুড়া জেলা নিয়ে বৃহত্তর চলনবিলের সিরাজগঞ্জ অংশে এবারো মসলা জাতীয় ফসল রসুনের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষক প্রায় বিনাচাষে প্রতিবিঘা জমিতে ২৫-২৭ মন কোন কোন স্থানে ৩০ মন রসুন ঘরে তুলতে পারছে এই এঅঞ্চলের কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়,গত রবি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ জেলায় রসুনের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছিলো ৯শ হেক্টোর। কিন্তু আবাদ হয়েছিলো ৯শ হেক্টরের কিছু কম। আর চলতি বছরে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলে ৯শ অর্জিত হয়েছে ৯শ ৫হেক্টর। এরমধ্যে কেবল বিনাচাষে ৪৮৫ হেক্টোর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। বিনাচাষে রসুন আবাদে খরচ অনেক কম এবং লাভ অনেক বেশি হওয়াতে এাঞ্চলের কৃষকরা রসুন আবাদে আগ্রাহি হচ্ছে। এক কথায় রসুনের চাষি যেমন বেড়েছে তেমনি উদপাদনও বেড়েছে।
চলনবিলাঞ্চলের একাধিক রসুন চাষি জানায়,আবহওয়া ভালো এবং দাম ভালো হওয়াতে তারা খুশি। তবে সরকার যদি সার-বীজ ও পরামর্শের পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ার ব্যবস্থা করতো তাহলে অনেক কৃষক আগ্রহি হতো এবং রসুন চাষের মাত্রা বাড়তো।
সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপপরিচালক,আ:জা:মু:আহসান শহীদ সরকার জানায়,বিনাচাষে রসুনের আবাদ লাভজনক। স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভের সহজ উপায় বিনাচাষে রসুন আবাদ। একফসলের পর প্রায় বিনাচাষে এইঅঞ্চলে রসুনের ব্যাপক আবাদ হওয়াতে কৃষকরাও অনেক খুশি। তারমতে,রসুন চাষে তেমন রোগবালাই নেই বললেই চলে। মাঠ পর্যায়ে তারা কুষকদের নানামুখি পরামর্শ দিয় যাচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলায় রসুনের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছিলো ৯শ হেক্টোর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৯০৫ হেক্টোর। এরমধ্যে কেবল বিনাচাষে ৪৮৫ হেক্টোর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। এতে খুশি এঅঞ্চলের কুষক।