প্রচন্ড রোদ আর তীব্র ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সৈয়দপুরের জনজীবন। একারনে স্বস্তি নেই কোথাও। ভ্যাপসা গরমে পিপাসায় কাতর পথচারী। ফলে একটু শান্তি পেতে প্রায় সকলেই ছুটছেন সরবতের দোকানে।
দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরের পোষ্ট অফিস মোড় ও ১নং ঘুমটি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শরবত দোকানে উপচে পড়া মানুষের ভীর। এছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় অর্ধশতাধিক অস্থায়ী শরবতের দোকান গড়ে উঠেছে। সেখানেও সরবত খেতে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে পিপাসিত নরনারী।
তীব্র গরমে সকাল ১১টার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত এসব অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় যেন লেগেই থাকছে। শহর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গেলেই ভ্যানে মিলছে লেবু, তোকমা, ইসবগুলসহ নানা ধরনের ফলের শরবত। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন তাদের তৃষ্ণা মেটায় এসব ভ্রাম্যমাণ বরফগলা শরবতের দোকানে।
পোষ্ট অফিস এলাকার শরবত ব্যাবসায়ী আমির বলেন, ভ্যাপসা গরমে বরফগলা পানির সাথে দই শিশ্রন করে শরবত বিক্রি করছি। গত ৪/৫ দিন প্রচন্ড গরম, তাই সরবতের চাহিদা বেড়েছে। দই শিশ্রিত সরবত প্রতি গ্লাস ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০/৫০০ গ্লাস শরবত বিক্রি হচ্ছে।
কুষরের রস বিক্রেতা মজ্নু মিয়া বলেন,ভ্যাসা গরমে পানি শুন্যতায়,বেড়েছে কুষর রসের চাহিদা। এক গ্লাসের দাম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২০০/৩০০ গ্লাস রস বিক্রি হচ্ছে। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে ৫/৭ শত টাকা লাভ হচ্ছে।
শরবত বিক্রেতা আমির বলেন,, ইউসুবগুল, আখের গুড়, তোকমা দানাসহ বিভিন্ন ভেসজ উপাদান দিয়ে সারা বছরই শরবত বিক্রি করি। কিন্তু গরমে দইয়ের সাথে বরফ পানি ও চিনি মিশ্রিত শরবত বেশি বিক্রি হয়।
কাঞ্চন নামের এক হিজরা বলেন, সৈয়দপুর শহরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দোকানে দোকানে সাহায্য তুলতে গিয়ে হাপিয়ে গেছি, এতে গলাও সুকিয়ে গেছে।একারনে সরবতের দোকানে এসেছি সরবত খেতে। প্রচন্ড গরমে ১/২ গ্লাস সরবত খেলে অনেকটা স্বস্তি পাই।
রাজু আহমেদ নামের এক পথচারী বলেন, তীব্র গরমেও কাজের জন্য বের হতে হয়েছে। ভ্যাপসা গরমে একটু স্বস্তি পেতেই সরবত খেতে এসেছি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, গত শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২/৪ দিন বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।