খুলনায় গভীর রাতে গত দুই এপ্রিল খায়রুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায় যে, আড়ংঘাটা থানাধীন আকমলের মোড়ে দু’পক্ষের গোলাগুলি চলছিলো। এসময় আচমকা একটি গুলি খায়রুলের বাম হাতের তালুতে লেগে সে আহত হয়। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যে তা সঠিক নয় বলে জানা যায়। শুরু হয় ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন প্রচেষ্টা। তথ্যে জানা যায় আকমলের মোড় এলাকায় কোন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি, গুলিবিদ্ধ খায়রুল যে তথ্য প্রদান করেছে তা সত্য নয়।
নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে খায়রুল জানায় হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ী রোড এলাকায় অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক শেখের বাসায় অস্ত্র ক্রয়ের জন্য যায়। অস্ত্র চেক করার সময় হঠাৎ পিস্তলে ফায়ার হয়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়।
অতপরঃ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাশার ভোর রাতে ফারুকের বাড়ি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পুলিশ সন্ত্রাসী ফারুক শেখ এর বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্ত্রাসী ফারুকের দেয়া তথ্য মোতাবেক তার বাসার রান্নাঘরে লুকানো ২ টি বিদেশী পিস্তল ও শয়ন কক্ষ হতে ১ টি শটগান, ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১ টি গুলির খোসা, ৭ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ এবং ১ টি রামদা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সন্ত্রাসী খায়রুল ও ফারুক এর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতারে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় আজ রোববার ২৭ এপ্রিল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার অভিযানে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদেরকে অর্থ পুরস্কারে ভূষিত করেন।