Dhaka ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসিবির আড়াইশ কোটি টাকা স্থানান্তরের যে ব্যাখ্যা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কয়েক দফায় ১৪টি ব্যাংকে মোট আড়াইশ কোটি টাকার এফডিআর স্থানান্তর করেছে। গুঞ্জন হলো, সভাপতি ফারুক আহমেদ এখান থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। যদিও বিসিবি এক বিবৃতিতে এই তথ্যকে ভুল বলে আখ্যায়িত করেছে।

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের নিয়োগ পরীক্ষায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিসিবির বিষয়টি নিয়ে আমি সভাপতি ও পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি… এফডিআর নিয়ে। আমাদের মন্ত্রণালয়েরও এফডিআর করা আছে। অনেকগুলো ১০–১৫–২০ বছর আগের। আপনারা জানেন, তখন ইন্টারেস্ট রেট ছিলো কোথাও ৫ পারসেন্ট, কোথাও ৬–৭ পারসেন্ট। এটা তো একটা আয়ের উৎস, সেই আয়টা অপারেশনাল কাজগুলোতে খরচ হয়।

এদিকে, ব্যাখ্যায় বিসিবি জানিয়েছিলো, তারা টাকা স্থানান্তর করেছে অধিক লাভের আশায়। আসিফ মাহমুদও এরকম ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিসিবির এফডিআরের রেট ছিলো ৭–৮ পারসেন্ট। আমি যতটুকু জানি, এখন যেখানে করা হয়েছে, সেখানে রেট ১১–১২ পারসেন্ট।

আসিফ মাহমুদ বলেন,যে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থটা ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ওই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের হলুদ সংকেত ছিলো, মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক। বিসিবি কিংবা আপনার নিজেও টাকাও তো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে চাইবেন না।

তিনি আরও বলেন,বিসিবির অভ্যন্তরীণ যে নিয়ম, সেটা কোনোভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব। বিসিবিতে তো একজন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আছেন, তার মতামত নেওয়া হয়েছে কি না, তার অনুমোদন আছে কি না, সেখানে কোনো প্রকার স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনা নগরীর রুপসা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ

বিসিবির আড়াইশ কোটি টাকা স্থানান্তরের যে ব্যাখ্যা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

Update Time : ০৫:৫৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কয়েক দফায় ১৪টি ব্যাংকে মোট আড়াইশ কোটি টাকার এফডিআর স্থানান্তর করেছে। গুঞ্জন হলো, সভাপতি ফারুক আহমেদ এখান থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। যদিও বিসিবি এক বিবৃতিতে এই তথ্যকে ভুল বলে আখ্যায়িত করেছে।

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের নিয়োগ পরীক্ষায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিসিবির বিষয়টি নিয়ে আমি সভাপতি ও পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি… এফডিআর নিয়ে। আমাদের মন্ত্রণালয়েরও এফডিআর করা আছে। অনেকগুলো ১০–১৫–২০ বছর আগের। আপনারা জানেন, তখন ইন্টারেস্ট রেট ছিলো কোথাও ৫ পারসেন্ট, কোথাও ৬–৭ পারসেন্ট। এটা তো একটা আয়ের উৎস, সেই আয়টা অপারেশনাল কাজগুলোতে খরচ হয়।

এদিকে, ব্যাখ্যায় বিসিবি জানিয়েছিলো, তারা টাকা স্থানান্তর করেছে অধিক লাভের আশায়। আসিফ মাহমুদও এরকম ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিসিবির এফডিআরের রেট ছিলো ৭–৮ পারসেন্ট। আমি যতটুকু জানি, এখন যেখানে করা হয়েছে, সেখানে রেট ১১–১২ পারসেন্ট।

আসিফ মাহমুদ বলেন,যে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থটা ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ওই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের হলুদ সংকেত ছিলো, মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক। বিসিবি কিংবা আপনার নিজেও টাকাও তো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে চাইবেন না।

তিনি আরও বলেন,বিসিবির অভ্যন্তরীণ যে নিয়ম, সেটা কোনোভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব। বিসিবিতে তো একজন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আছেন, তার মতামত নেওয়া হয়েছে কি না, তার অনুমোদন আছে কি না, সেখানে কোনো প্রকার স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব।