Dhaka ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপরে পুরাতন যন্ত্রপাতির জমজমাট ব্যবসা

oppo_2

ফেলে দেয়া পুরাতন গাড়ীর যন্ত্রপাতির ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। পুরাতন গাড়ির যন্ত্রপাতি খুলে তেল মবিল দিয়ে ধুয়ে তা স্বচল করে বিক্রি হচ্ছে সৈয়দপুর, নীলফামারী সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এবং সেগুলো ক্রয় করছেন মধ্য বিত্ত গাড়ির মালিকরা।

সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া বড় মসজিদের সামনে ছোট একটি দোকানে গাড়ীর পুরাতন যন্ত্রপাতি নাট, বল্টু সাজিয়ে বসে আছেন জাবেদ নামের এক ব্যক্তি। প্রায় ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় ব্যবসা করছেন তিনি। তিনি বলেন, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের হক মেশিনারিজে কাজ করতেন তিনি। সেখানে দেখেছেন প্রায় লোক পুরাতন যন্ত্রপাতি ও নাট বল্টু ক্রয় করতে আসছেন কিন্তু সেখানের সব মালামালই নতুন ছিল বলে ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০/৪০ জন ক্রেতা ফিরে যাওয়া দেখে তিনি মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে মুন্সিপাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন একটি দোকান ভাড়ায় নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রহ করতে থাকেন শহরের অলিগলি সহ গ্রামাঞ্চলে ক্রয় করেন সবধরনের পুরাতন অচল গাড়ীর মালিকদের কাছে।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুরের মুন্সিপাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই নয়, মুন্সিপাড়া ছুইপার পট্টি ভাংরী পট্টিতে শুধু নাট বল্টুই নয়, পুরাতন গাড়ীর আয়না, পাখা, বিয়ারিং, লাইট, টায়ার, বুষ্টার, ব্রেকসহ সবই তিনি বিক্রি করছেন অল্প দামে। ক্রয় করা পুরাতন গাড়ীর সবকিছুই সেই দোকান গুলোতে বিক্রি হয়কিনা জানতে চাইলে জাবেদ বলেন পুরাতন গাড়ী ক্রয়ের পরপরই সব খুলে ফেলা হয়। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যেগুলি স্বচল সেগুলি তেল মবিল দিয়ে একেবারেই নতুনের মতো করা হয় এবং বাকি গুলো বিক্রি করা হয় শহরের টিউবওয়েল কারখানায়।

ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। অনেক দোকান হয়েছে তো তাই। তবে যারা যন্ত্রপাতি চিনেন তারা নতুন যন্ত্রপাতি না কিনে পুরাতন যন্ত্রপাতি কিনতে আসছেন তার দোকানে।

মুন্সিপাড়া ভাংরী পট্টি এলাকায় পুরাতন যন্ত্রপাতির পাশাপাশি রেলওয়ে কারখানার দামী দামী যন্ত্রপাতি দোকানেসহ রাস্তায় ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। পুরাতন গাড়ীর যন্ত্রপাতির পাশাপাশি অন্যান্য দোকানে কি করে রেল কারখানার যন্ত্রপাতি এলো তা কেউ খোজ খবর রাখছেন না।জামাল নামের অপর এক ব্যবসায়ী বলেন ওই এলাকায় ১৮ বছর থেকে পুরাতন যন্ত্রপাতির ব্যবসা করছেন তিনি। প্রতিদিন তার বিক্রি হয় ২০/২৫ হাজার টাকার মতো, লাভ হয় মোটামুটি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দোকানে রেলওয়ে কারখানার মল্যবান কিছু মালামাল থাকে বলে আতঙ্কের সাথে ব্যবসা করতে হচ্ছে। সৈয়দপুরে মুন্সিপাড়া ভাংরীপট্টিতে মাসে কতটাকার যন্ত্রপাতির কেনা বেচা হয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিহাই, লোহা ব্যবসায়ি খোকা নামের এক ব্যবসায়ী বলেন,প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার মতো তো হবেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

সৈয়দপরে পুরাতন যন্ত্রপাতির জমজমাট ব্যবসা

জন দেখেছেন : ০৫:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ফেলে দেয়া পুরাতন গাড়ীর যন্ত্রপাতির ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। পুরাতন গাড়ির যন্ত্রপাতি খুলে তেল মবিল দিয়ে ধুয়ে তা স্বচল করে বিক্রি হচ্ছে সৈয়দপুর, নীলফামারী সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এবং সেগুলো ক্রয় করছেন মধ্য বিত্ত গাড়ির মালিকরা।

সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া বড় মসজিদের সামনে ছোট একটি দোকানে গাড়ীর পুরাতন যন্ত্রপাতি নাট, বল্টু সাজিয়ে বসে আছেন জাবেদ নামের এক ব্যক্তি। প্রায় ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় ব্যবসা করছেন তিনি। তিনি বলেন, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের হক মেশিনারিজে কাজ করতেন তিনি। সেখানে দেখেছেন প্রায় লোক পুরাতন যন্ত্রপাতি ও নাট বল্টু ক্রয় করতে আসছেন কিন্তু সেখানের সব মালামালই নতুন ছিল বলে ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০/৪০ জন ক্রেতা ফিরে যাওয়া দেখে তিনি মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে মুন্সিপাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন একটি দোকান ভাড়ায় নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রহ করতে থাকেন শহরের অলিগলি সহ গ্রামাঞ্চলে ক্রয় করেন সবধরনের পুরাতন অচল গাড়ীর মালিকদের কাছে।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুরের মুন্সিপাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই নয়, মুন্সিপাড়া ছুইপার পট্টি ভাংরী পট্টিতে শুধু নাট বল্টুই নয়, পুরাতন গাড়ীর আয়না, পাখা, বিয়ারিং, লাইট, টায়ার, বুষ্টার, ব্রেকসহ সবই তিনি বিক্রি করছেন অল্প দামে। ক্রয় করা পুরাতন গাড়ীর সবকিছুই সেই দোকান গুলোতে বিক্রি হয়কিনা জানতে চাইলে জাবেদ বলেন পুরাতন গাড়ী ক্রয়ের পরপরই সব খুলে ফেলা হয়। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যেগুলি স্বচল সেগুলি তেল মবিল দিয়ে একেবারেই নতুনের মতো করা হয় এবং বাকি গুলো বিক্রি করা হয় শহরের টিউবওয়েল কারখানায়।

ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। অনেক দোকান হয়েছে তো তাই। তবে যারা যন্ত্রপাতি চিনেন তারা নতুন যন্ত্রপাতি না কিনে পুরাতন যন্ত্রপাতি কিনতে আসছেন তার দোকানে।

মুন্সিপাড়া ভাংরী পট্টি এলাকায় পুরাতন যন্ত্রপাতির পাশাপাশি রেলওয়ে কারখানার দামী দামী যন্ত্রপাতি দোকানেসহ রাস্তায় ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। পুরাতন গাড়ীর যন্ত্রপাতির পাশাপাশি অন্যান্য দোকানে কি করে রেল কারখানার যন্ত্রপাতি এলো তা কেউ খোজ খবর রাখছেন না।জামাল নামের অপর এক ব্যবসায়ী বলেন ওই এলাকায় ১৮ বছর থেকে পুরাতন যন্ত্রপাতির ব্যবসা করছেন তিনি। প্রতিদিন তার বিক্রি হয় ২০/২৫ হাজার টাকার মতো, লাভ হয় মোটামুটি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দোকানে রেলওয়ে কারখানার মল্যবান কিছু মালামাল থাকে বলে আতঙ্কের সাথে ব্যবসা করতে হচ্ছে। সৈয়দপুরে মুন্সিপাড়া ভাংরীপট্টিতে মাসে কতটাকার যন্ত্রপাতির কেনা বেচা হয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিহাই, লোহা ব্যবসায়ি খোকা নামের এক ব্যবসায়ী বলেন,প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার মতো তো হবেই।