নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাষণ্ড স্বামীর হাতে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে রেবা বেগম(২০)নামে এক গৃহবধূ। গৃহবধূর স্বামী আলমগীর ইসলাম বাবু( ৩০) শুধু নির্যাতন এ-ই করিনি, তার দুগ্ধপোষ্য কন্যাশিশুটিকে কেড়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গেলে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানায়, তার বাবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় । রাজধানী ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় তাদের দুজনের পরিচয় হয়। চার বছর পূর্বে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন দু’জন। বর্তমানে তাদের কোলজুড়ে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।সন্তানটির বয়স এখন ১৭ মাস। তিন বছর সংসার ভালোভাবে কাটলেও এ সময় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে আমার স্বামী।
নির্যাতিতা নারী রেবা বেগম আরো জানান,“আমার স্বামী মাদকাসক্ত এবং পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে, সে এখন ক্যাসিনো, থাই ও অনলাইন জুয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে।গভীর রাত করে বাড়ীতে ফিরে, এসব থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমাকে প্রায় সময় শারীরিক নির্যাতন করে। আমি বারবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছি কিন্তু, বিচার পাইনি।’ ’ সর্বশেষ, আমাকে রক্তাক্ত জখম করে আমার ১৭ মাসের দুগ্ধপোষ্য কন্যা আয়েশা আক্তারকে আমার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্বামী ও শাশুড়ী । বর্তমানে আমি হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন।”
অভিযুক্ত আলমগীর ইসলাম বাবু পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত ছমির উদ্দিনের ছেলে।
বর্তমানে জলঢাকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ শূন্য থাকায় এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
একজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এ ধরনের পাশবিক নারী নির্যাতন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে ।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর ইসলাম বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।