Dhaka ১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নন্দীগ্রামে বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করে খুশি কৃষকরা

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কৃষকের মুখে এখন হাসি। ইরি-বোর ধান চাষ নিয়ে সংগ্রাম করার পর, শেষমেশ বাজারের টানাপোড়নের বদলে এবার তারা বাড়ি আঙ্গিনা থেকেই ধান বিক্রি করছে। খরচ কম, ঝামেলাও কম, সব চেয়ে বড় ব্যাপার-তাদের হাতে এখন নগদ টাকা। কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, আগে বেশী দামের আশায় ধান হাটে নিয়ে যেতাম, অনেক খরচ হতো।

এখন আর হাটে যেতে হচ্ছে না, হাটের দামেই বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করতে পারিছ। তিনি আরও বলেন, নগদ টাকায় ধান বিক্রি করতে পেরে ভাল লাগছে। তার মতো অনেক কৃষক বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করছে। এখন প্রতিটি গ্রামে ব্যবসায়ীরা এসে দরদাম করে কৃষকদের ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের সময় ও খরচ উভয়ই কমে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে এ উপজেলায় ইরি-বোর মৌসুমে নন্দীগ্রাম ১৯ হাজার ৭শ ৭০হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়েছে।

ফলনও ভাল হয়েছে, তবে দাম কিছুটা কমে গেছে। মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ মিনিকেট ধান বিক্রি হয়েছে ১হাজার ৪শ ৫০ টাকায়, কিন্তু এখন তা নেমে এসেছে ১হজার ৩শ টাকায়। কৃষকরা বলছে, দাম কমেছে, তবুও লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, আগে ধান কাটা-মাড়াই করার পর বাজারে নিয়ে যেতে হতো, কিন্তু এখন অনেকটাই সহজে ধান বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবছর ইরি-বোরো ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২২-২৪ মণ হারে ধান হচ্ছে।

ধান ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, আমরা গ্রামে গিয়ে কৃষকদের নিকট থেকে ধান কিনছি। হাট-বাজার ও গ্রামের ধানের বাজার প্রায় সমান। তবে গ্রামে গিয়ে ভাল করে দেখে ধান কেনা যায়। এতে ঝামেলা কম হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, ইরি-বোর ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। ধানের ফলন ও দাম বেশ ভালো আছে। কৃষকরা বাড়ি থেকে তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি। এতে তাদের সময় ও খরচ উভয় কমে গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনা নগরীর রুপসা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ

নন্দীগ্রামে বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করে খুশি কৃষকরা

Update Time : ০৭:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কৃষকের মুখে এখন হাসি। ইরি-বোর ধান চাষ নিয়ে সংগ্রাম করার পর, শেষমেশ বাজারের টানাপোড়নের বদলে এবার তারা বাড়ি আঙ্গিনা থেকেই ধান বিক্রি করছে। খরচ কম, ঝামেলাও কম, সব চেয়ে বড় ব্যাপার-তাদের হাতে এখন নগদ টাকা। কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, আগে বেশী দামের আশায় ধান হাটে নিয়ে যেতাম, অনেক খরচ হতো।

এখন আর হাটে যেতে হচ্ছে না, হাটের দামেই বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করতে পারিছ। তিনি আরও বলেন, নগদ টাকায় ধান বিক্রি করতে পেরে ভাল লাগছে। তার মতো অনেক কৃষক বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করছে। এখন প্রতিটি গ্রামে ব্যবসায়ীরা এসে দরদাম করে কৃষকদের ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের সময় ও খরচ উভয়ই কমে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে এ উপজেলায় ইরি-বোর মৌসুমে নন্দীগ্রাম ১৯ হাজার ৭শ ৭০হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়েছে।

ফলনও ভাল হয়েছে, তবে দাম কিছুটা কমে গেছে। মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ মিনিকেট ধান বিক্রি হয়েছে ১হাজার ৪শ ৫০ টাকায়, কিন্তু এখন তা নেমে এসেছে ১হজার ৩শ টাকায়। কৃষকরা বলছে, দাম কমেছে, তবুও লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, আগে ধান কাটা-মাড়াই করার পর বাজারে নিয়ে যেতে হতো, কিন্তু এখন অনেকটাই সহজে ধান বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবছর ইরি-বোরো ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২২-২৪ মণ হারে ধান হচ্ছে।

ধান ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, আমরা গ্রামে গিয়ে কৃষকদের নিকট থেকে ধান কিনছি। হাট-বাজার ও গ্রামের ধানের বাজার প্রায় সমান। তবে গ্রামে গিয়ে ভাল করে দেখে ধান কেনা যায়। এতে ঝামেলা কম হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, ইরি-বোর ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। ধানের ফলন ও দাম বেশ ভালো আছে। কৃষকরা বাড়ি থেকে তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি। এতে তাদের সময় ও খরচ উভয় কমে গেছে।