বাগেরহাটের ফকিরহাটে একই জমিতে তিন ফসল চাষে সফলতা দেখিয়েছে নতুন জাতের ব্রি ধান ১০২। আমন ধানের পর সরিষা তুলে টাউন নওয়াপাড়া এলাকার চাষি মো: আরব আলী চাষ করেছেন চিকন জাতের ব্রি ধান ১০২। সোমবার দুপুরে এই ধানের নমুনা শস্য কর্তনে অংশ গ্রহন করেন আঞ্চলিক ধান গবেষনা কেন্দ্র গোপালগঞ্জের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক মুর্খ কর্মকর্তা ড: আমিনা খাতুন, সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: রোমেল বিশ^াসসহ কৃষি বিভাগ ও স্থানিয় চাষিরা। ধান মাড়াই করে দেখা যায় প্রতি শতাংশে প্রায় ১মন ধান উৎপাদন হয়েছে।
এ উপজেলায় শতাধিক চাষি পরিক্ষামুল ভাবে এই ধান চাষ করেছেন। ফলন হয়েছে আনেক ভালো।
স্থানিয় চাষি আরব আলী জানান, পরিক্ষামুলক ভাবে এবছর ব্রি ধান ১০২ কৃষিবিভাগের পরামর্শে সরিষা কেটে লাগান হয়েছে। ফলন হয়েছে শতাংশে প্রায় এক মন। একই জমিতে এক বছরে ৩টি ফসল হওয়ায় ফলন দেখে অন্য চাষিরা আগামিতে এই জাতের ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জিংক ও আমিষ সমৃদ্ধ এই ধান চাষে রোগবালাই অনেক কম হওয়ায় হইব্রিড জাতের ধানের মত ফল হয়। উফশী জাতের এ ধানের বীজ সংগ্রহ করে পরবতীতে এই ধান চাষ করা যায়।
আঞ্চলিক ধান গবেষনা কেন্দ্র গোপালগঞ্জের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক মুর্খ কর্মকর্তা ড: আমিনা খাতুন বলেন, ব্রি থেকে উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো ফলন আগের পুরনো জাতে ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর তুলনায় অনেক বেশি। হাইব্রিড ধানের সমান ফলন দিতে সক্ষম এই ধান। জিংক ও আমিষ সমৃদ্ধ এই ধানের চাউলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পুরাতন জাতগুলোর ধান উৎপাদনে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় নতুন জাতের ব্রি ধান ১০২ চাষ করতে পরামর্শ দেন তিনি।