Dhaka ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডায় সাধারণ নির্বাচনে জয় পেল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি

জাতীয় নির্বাচনে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার জয় পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। পুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ও কানাডাকে দখল তথা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা নির্বাচনের আগে দেশটিতে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছিল। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূখণ্ড দখলের হুমকি ঘিরে আলোচিত কানাডার জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি।

দেশটির জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা সিবিসি এবং সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, সোমবার রাতে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টের ৩৪৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে। এর ফলে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ক্ষমতায় থাকছেন।

অর্থনীতিবিদ পেশাজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করা কার্নি নির্বাচনে নিজেকে ট্রাম্পের চাপের মুখে কানাডার স্বার্থ রক্ষাকারী নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেছিরেন। তবে এই ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদি না পান, তাহলে তাকে হয়তো ছোট কোনও দলের সহায়তা নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে হবে।

মার্ক কার্নি পূর্বে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর ছিলেন এবং সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন এবং লিবারেলদের মধ্যমপন্থি অবস্থানকে সামনে এনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান ট্রেড ট্যারিফ, শুল্ক বৃদ্ধি এবং কৌশলগত হুমকি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে ওঠে।

কানাডার প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক নীতিকে কানাডার স্বার্থবিরোধী বলেও চিহ্নিত করা হয়।

মূলত চলতি বছরের শুরুতে যে কোনও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিতই ছিল কানাডার কনজারভেটিভরা; কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক আর কানাডাকে “৫১তম অঙ্গরাজ্য” বানানোর ইচ্ছা উত্তর আমেরিকার এই দেশটির রাজনীতিকেই কার্যত উল্টেপাল্টে দিয়েছে। ফলে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টিতে ভোটের আগে সঞ্চার করে নতুন প্রাণ।

বছোড়া ভোটের আগে সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতেও লিবারেল পার্টি এগিয়ে ছিল। রোববার ইপসোসের করা এক জরিপে লিবারেল পার্টি ৪২ শতাংশ ও কনজারভেটিভ পার্টির ৩৮ শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে শনিবার অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলরা ৪৪ শতাংশ জনসমর্থন আর কনজারভেটিভ পার্টি ৪০ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কানাডায় সাধারণ নির্বাচনে জয় পেল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি

Update Time : ১০:২৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার জয় পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। পুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ও কানাডাকে দখল তথা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা নির্বাচনের আগে দেশটিতে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছিল। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূখণ্ড দখলের হুমকি ঘিরে আলোচিত কানাডার জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি।

দেশটির জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা সিবিসি এবং সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, সোমবার রাতে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টের ৩৪৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে। এর ফলে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ক্ষমতায় থাকছেন।

অর্থনীতিবিদ পেশাজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করা কার্নি নির্বাচনে নিজেকে ট্রাম্পের চাপের মুখে কানাডার স্বার্থ রক্ষাকারী নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেছিরেন। তবে এই ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদি না পান, তাহলে তাকে হয়তো ছোট কোনও দলের সহায়তা নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে হবে।

মার্ক কার্নি পূর্বে ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর ছিলেন এবং সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন এবং লিবারেলদের মধ্যমপন্থি অবস্থানকে সামনে এনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান ট্রেড ট্যারিফ, শুল্ক বৃদ্ধি এবং কৌশলগত হুমকি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে ওঠে।

কানাডার প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক নীতিকে কানাডার স্বার্থবিরোধী বলেও চিহ্নিত করা হয়।

মূলত চলতি বছরের শুরুতে যে কোনও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিতই ছিল কানাডার কনজারভেটিভরা; কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক আর কানাডাকে “৫১তম অঙ্গরাজ্য” বানানোর ইচ্ছা উত্তর আমেরিকার এই দেশটির রাজনীতিকেই কার্যত উল্টেপাল্টে দিয়েছে। ফলে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টিতে ভোটের আগে সঞ্চার করে নতুন প্রাণ।

বছোড়া ভোটের আগে সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতেও লিবারেল পার্টি এগিয়ে ছিল। রোববার ইপসোসের করা এক জরিপে লিবারেল পার্টি ৪২ শতাংশ ও কনজারভেটিভ পার্টির ৩৮ শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে শনিবার অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলরা ৪৪ শতাংশ জনসমর্থন আর কনজারভেটিভ পার্টি ৪০ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।