Dhaka ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈরে পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক নারী শ্রমিক ও অপর এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৃথক দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার কালামপুর ও মৌচাক ধোপাচালা এলাকায় পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার সাহেবাবাদ এলাকার হালিম দেওয়ানের ছেলে নূরুল ইসলাম (৩৫) ও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর উপজেলার রুপশি গ্রামের গাফ্ধসঢ়;ফার আলী ভূঈয়ার ছেলে হাফিজুর ইসলাম (১৯)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল ধর্ষণের শিকার ওই যুবতী তার দুই বন্ধু ফাহিম আহমেদ সোহাগ ও রায়হান আলী সঙ্গে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ধোপাচালা এলাকায় যান। ওইদিন তারা কৌশলে ওই এলাকার আয়নাল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাফিজুর ইসলামের ভাড়া কক্ষে নিয়ে যায়। গভীর রাতে সোহাগ, রায়হান ও হাফিজুর মিলে রাতভর জোরপূর্বক তাকে গণধর্ষণ করে।

ধর্ষণের এক পর্যায়ে ওই যুবতী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পরের দিন ভোরে ওই যুবতীকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার একটি খাবার হোটেলের সামনে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষকরা। পরে ওই যুবতী স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা শেষে গত ২৮ এপ্রিল সোমবার ওই তিনজনের নাম উল্লেখ্য করে কালিয়াকৈর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলার অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

অপরদিকে অপর এক নারী পোশাক শ্রমিক দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে সাভারে আশুলিয়া থানার জিরাবো আসে। পরে সেখানে একটি স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছেন। এরই মধ্যে গত তিন মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে শাহাবুদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। গত ৩ এপ্রিল বিকালে ওই যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় আসতে বলে। তার কথা মতো সেখানে এলে ওই নারীকে বিবাহের জন্য পাশের কালামপুর গায়েন বাড়ি এলাকায় নুরুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যায় শাহাবুদ্দিন।

সেখানে তারা দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল ওই নারীকে সেখানে রেখে তার গ্রামের বাড়ি চলে যায় শাহাবুদ্দিন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে ওই যুবক বাসায় ফিরলে মিথ্যা পরিচয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই যুবককে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয় বাসার মালিক নূরুল ইসলাম। এ সুযোগে গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে বাসার মালিক ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সাহাবুদ্দিন ও নূরুল ইসলামের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বাড়ির মালিক নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কালিয়াকৈর থানার পরির্দশক (তদন্ত) জাফর আলী খান জানান, ওই যুবতী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই যুবতীকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে গ্রেপ্তারকৃত নূরুল ইসলামকেও গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনা নগরীর রুপসা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ

কালিয়াকৈরে পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার

Update Time : ০৬:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক নারী শ্রমিক ও অপর এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৃথক দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার কালামপুর ও মৌচাক ধোপাচালা এলাকায় পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার সাহেবাবাদ এলাকার হালিম দেওয়ানের ছেলে নূরুল ইসলাম (৩৫) ও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর উপজেলার রুপশি গ্রামের গাফ্ধসঢ়;ফার আলী ভূঈয়ার ছেলে হাফিজুর ইসলাম (১৯)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল ধর্ষণের শিকার ওই যুবতী তার দুই বন্ধু ফাহিম আহমেদ সোহাগ ও রায়হান আলী সঙ্গে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ধোপাচালা এলাকায় যান। ওইদিন তারা কৌশলে ওই এলাকার আয়নাল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাফিজুর ইসলামের ভাড়া কক্ষে নিয়ে যায়। গভীর রাতে সোহাগ, রায়হান ও হাফিজুর মিলে রাতভর জোরপূর্বক তাকে গণধর্ষণ করে।

ধর্ষণের এক পর্যায়ে ওই যুবতী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পরের দিন ভোরে ওই যুবতীকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার একটি খাবার হোটেলের সামনে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষকরা। পরে ওই যুবতী স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা শেষে গত ২৮ এপ্রিল সোমবার ওই তিনজনের নাম উল্লেখ্য করে কালিয়াকৈর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলার অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

অপরদিকে অপর এক নারী পোশাক শ্রমিক দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে সাভারে আশুলিয়া থানার জিরাবো আসে। পরে সেখানে একটি স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছেন। এরই মধ্যে গত তিন মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে শাহাবুদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। গত ৩ এপ্রিল বিকালে ওই যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় আসতে বলে। তার কথা মতো সেখানে এলে ওই নারীকে বিবাহের জন্য পাশের কালামপুর গায়েন বাড়ি এলাকায় নুরুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যায় শাহাবুদ্দিন।

সেখানে তারা দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল ওই নারীকে সেখানে রেখে তার গ্রামের বাড়ি চলে যায় শাহাবুদ্দিন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে ওই যুবক বাসায় ফিরলে মিথ্যা পরিচয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই যুবককে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয় বাসার মালিক নূরুল ইসলাম। এ সুযোগে গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে বাসার মালিক ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সাহাবুদ্দিন ও নূরুল ইসলামের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বাড়ির মালিক নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কালিয়াকৈর থানার পরির্দশক (তদন্ত) জাফর আলী খান জানান, ওই যুবতী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই যুবতীকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে গ্রেপ্তারকৃত নূরুল ইসলামকেও গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।