Dhaka ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরে ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা

দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরে ইলিশ শিকারে নামবে জেলেরা।

ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর আবারও নদীতে নামেছে জেলেরা।

গতকাল ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মাছ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এর আগে ইলিশ ধরার প্রস্তুতিতে নৌকা মেরামত, জাল সেলাই এর কাজ করে শেষ করেছে। এরপর রাতে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ইলিশ ধরতে নেমেছে জেলেরা।

মূলত ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটারসহ ৬টি নদী অঞ্চলে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। জেলেরা যাতে নদীতে নামতে না পারে, তার জন্য সার্বক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসন, নৌ পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, জেলা পুলিশ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছে। আর আইন অমান্যকারী জেলেদের করা হয়েছে জেলা-জরিমানা।

চাঁদপুর সদরের মেঘনা পাড়ের জেলে সুমন বলেন, দুইমাস নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলাম। দুই মাস শেষ হয়েছে। এখন আমরা মাছ ধরতে প্রস্তুত। নৌকা-জাল নদীতে নামিয়ে রাখছি, সময় হলে মাছ ধরতে যাবো।

তিনিসহ বেশ কিছু জেলে বলেন, দুই মাস ধারদেনা করতে চলতে হয়েছে। সরকার যে চাল দিসে, তা দিয়ে পরিবার চারানো কষ্টকর। দুইমাস শেষ হয়েছে, এখন নদীতে নেমে যদি ইলিশ না পাই কষ্টের শেষ থাকবে না। বিশেষ করে নদীর পানি কালো ও দূষিত হয়ে যাচ্ছে। কাঙ্খিত মাছ পাবো কিনা আমরা বুজতে পারছি না।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এই বছর জাটকা রক্ষা অভিযান অত্যান্ত সফল হয়েছে। যার কারণে এই ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ইলিশ বাড়লে তার সুফল একমাত্র জেলেরাই পাবে।

তিনি আরও বলেন, জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চালের পাশাপাশি নতুন করে আর্থিক সহায়তার করার কোন পরিকল্পনা। তবে জেলেদের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরে ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা

জন দেখেছেন : ০৮:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরে ইলিশ শিকারে নামবে জেলেরা।

ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর আবারও নদীতে নামেছে জেলেরা।

গতকাল ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মাছ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এর আগে ইলিশ ধরার প্রস্তুতিতে নৌকা মেরামত, জাল সেলাই এর কাজ করে শেষ করেছে। এরপর রাতে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ইলিশ ধরতে নেমেছে জেলেরা।

মূলত ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটারসহ ৬টি নদী অঞ্চলে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। জেলেরা যাতে নদীতে নামতে না পারে, তার জন্য সার্বক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসন, নৌ পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, জেলা পুলিশ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছে। আর আইন অমান্যকারী জেলেদের করা হয়েছে জেলা-জরিমানা।

চাঁদপুর সদরের মেঘনা পাড়ের জেলে সুমন বলেন, দুইমাস নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলাম। দুই মাস শেষ হয়েছে। এখন আমরা মাছ ধরতে প্রস্তুত। নৌকা-জাল নদীতে নামিয়ে রাখছি, সময় হলে মাছ ধরতে যাবো।

তিনিসহ বেশ কিছু জেলে বলেন, দুই মাস ধারদেনা করতে চলতে হয়েছে। সরকার যে চাল দিসে, তা দিয়ে পরিবার চারানো কষ্টকর। দুইমাস শেষ হয়েছে, এখন নদীতে নেমে যদি ইলিশ না পাই কষ্টের শেষ থাকবে না। বিশেষ করে নদীর পানি কালো ও দূষিত হয়ে যাচ্ছে। কাঙ্খিত মাছ পাবো কিনা আমরা বুজতে পারছি না।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এই বছর জাটকা রক্ষা অভিযান অত্যান্ত সফল হয়েছে। যার কারণে এই ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ইলিশ বাড়লে তার সুফল একমাত্র জেলেরাই পাবে।

তিনি আরও বলেন, জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চালের পাশাপাশি নতুন করে আর্থিক সহায়তার করার কোন পরিকল্পনা। তবে জেলেদের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি।