গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুর্গন্ধ ও মাছির আনা-ঘোনায় বহুতল ভবনের একটি বন্ধ ঘরে মিলেছে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত লাশ। ৯৯৯-এ ফোনে বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পল্লীবিদ্যুৎ খাজাডেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হলেন, কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পল্লীবিদ্যুৎ খাজাডেক এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৪০)। তিনি মুদি দোকান ব্যবসায়ী ছিলেন।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান তার স্ত্রী রেশমা ও তাদের সন্তান মারিয়া আক্তার (১২), জান্নাতি আক্তার (৯) ও জুনায়েত হোসেনকে নিয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পল্লীবিদ্যুৎ খাজাডেক এলাকার আনোয়ার হোসেনের বহুতল ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। পরে পাশের বটতলা এলাকায় মুদি দোকান ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু গত বুধবার তার স্ত্রী রেশমা বেগম তাদের তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি ঢাকার লালমাটিয়া বেড়াতে যান। এরপর গত তিন ধরে ওই ব্যবসায়ী জিয়াউরের ভাড়া বাসার ঘরে দরজা বন্ধ ছিল। সোমবার সকালে তাদের বন্ধ ভাড়া ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এছাড়াও ওই বন্ধ ঘরে মাছির আনা-ঘোনা দেখে সন্দেহ হলে ভবনের মালিককে বিষয়টি জানায় পাশের ভাড়াটিয়ারা। পরে ভবনের মালিক আনোয়ার হোসেন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙ্গে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। এর আগেও তিনি আরো দুই বার স্ট্রোক করেছিলেন।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামিল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।