আমিনুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: 
২৫ বৈশাখ,বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী পালনের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়িতে। ৩ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান মালার শেষ মুহুর্তের অনুশীলনে ব্যস্ত জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীরা। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে পরিবেশনায় অংশ গ্রহন করার সুযোগ পাওয়াতে আনন্দিত রবীন্দ্রনুরাগীরা। আর ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
জানাগেছে,১৮৪০ সালে নাটোরের রানী ভবানীর নিকট থেকে নিলামে ১৩ টাকা ১০ আনায় শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন কবির পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত এই জমিদারি দেখাশুনার জন্য বিভিন্ন সময় শাহজাদপুরে আসতেন কবিগুরু। অবস্থান করতেন কাছাড়িবাড়িতে। এখানে বসেই তিনি রচনা করেছেন সোনাতরী, চৈতালী, ছোটগল্প পোষ্ট মাস্টার, ছুটি, ক্ষুদিতপাষাণসহ অসংখ্যা সাহিত্য কর্ম। এই রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়িকেই ঘীরে রবীন্দ্র চর্চা হয়ে থাকে শাহজাদপুর এবং সিরাজগঞ্জে। প্রত্যেক বছর উৎসবমুখর পরিবেশে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। ২৫ শে বৈশাখ সকালে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ইতিমধ্যে আলোকসজ্জার কাজ শুরু করা হয়েছে, শেষ হয়েছে রং এর কাজ পাশাপাছি চলছে কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গন এবং অডিটরিয়াম পরিস্কার পরিছন্নের কাজ। তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান মালায় থাকবে আলোচনা সভা, প্রবন্ধ পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত, নাটক এবং গীতী আলেখ্য। অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জের শিল্পীদের পাশাপাশি পরিবেশনা করবে ঢাকা ও কলকাতার শিল্পীরা। নিজেদের পরিবেশনা সুন্দর করতে শেষ মুহুর্তের অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সারা বছর অপেক্ষার পর রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান এ অঞ্চলের রবীন্দ্র ভক্তদের কাছে বিশেষ দিন হিসেবে মনে হয়। তাইতো রবীন্দ্রভক্তদের পদ চারনায় মুখরিত থাকে উৎসব প্রাঙ্গণ।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান জানান,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, প্রত্বতœ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় ভাবে রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়িতে কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী পালনের সকল প্রস্ততি শেষের দিকে ৭ মের মধ্যে সকল কাজ সমাপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
২৫ শে বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসব শেষ হবে ২৭ শে বৈশাখ। রবীন্দ্রভক্তদের পদচারনায় মুখরিত হবে উৎসব প্রাঙ্গন এমন টা প্রত্যাশা করছে আয়োজকরা।
