Dhaka ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর মান্দায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ

নওগাঁর মান্দায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সমাজসেবা অফিসের সামনে দিয়ে একটি পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। আর এ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য মজুত করা হয়েছে মানহীন কোয়ালিটির অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া। এ নিয়ে সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের সামনে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তাটি ইট দিয়ে (এইচবিবি) তৈরি করা হয়েছিল। সেই ইট উঠিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, ওই রাস্তায় থাকা প্রতিটি ইটের দাম ১৪ টাকা ধরে আগেই ঠিকাদারের কাছ থেকে সমপরিমাণ মূল্য কেটে নিয়েছে এলজিইডি দপ্তর। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় থাকা নিম্নমানের ইট ভেঙে তৈরি খোয়াই ব্যবহার করতে হচ্ছে ঠিকাদারকে। পরিষদের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় খন্ড খন্ড ভাবে অন্তত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করছে উপজেলাস্থ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর  (এলজিইডি)।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে রাস্তার মাটি কেটে বক্স তৈরি করা হয়েছে। এরপর বালু ফিলিং করে সাববেজ (ইটের খোয়া ও বালুর মিশ্রণ) তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ভেঙে খোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনো সময় এই খোয়া ব্যবহার করা হবে সাববেজ ও ডব্লিউবিএম তৈরির কাজে।

স্থানীয়রা বলেন, সরকারি অর্থে নির্মিত রাস্তায় যদি এই ধরণের কমা নিম্নমানের  উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তবে রাস্তাটি কখনোই সুন্দর মজবুত ও টেকসই হবে না। অল্প সময়েই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে, যা এক ধরণের সরকারি টাকার অপচয়। তাদের দাবি, নিয়ম মেনে কাজের গুণগত মানের নিশ্চয়তা দেওয়া জরুরি। না হলে সরকারের সব অর্থ অপচয় হবে, জনদু্র্ভোগ ও ভোগান্তি বাড়বে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার তানজিদুল ইসলাম বলেন, ইজিপিপি কাজে রাস্তায় পুরাতন যেসব ইট রয়েছে সেগুলো ভেঙে কাজ করতে হবে। কারণ আগেই ওই রাস্তায় থাকা ইটের দাম কেটে নিয়েছে এলজিইডি দপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় এই রাস্তার নির্মাণ কাজ চলেছে। এ প্রকল্পে সাধারণত এই ধরণেরই উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা প্রকল্পের নিয়মের মধ্যেই পড়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনা নগরীর রুপসা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ

নওগাঁর মান্দায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ

Update Time : ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

নওগাঁর মান্দায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সমাজসেবা অফিসের সামনে দিয়ে একটি পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। আর এ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য মজুত করা হয়েছে মানহীন কোয়ালিটির অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া। এ নিয়ে সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের সামনে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তাটি ইট দিয়ে (এইচবিবি) তৈরি করা হয়েছিল। সেই ইট উঠিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, ওই রাস্তায় থাকা প্রতিটি ইটের দাম ১৪ টাকা ধরে আগেই ঠিকাদারের কাছ থেকে সমপরিমাণ মূল্য কেটে নিয়েছে এলজিইডি দপ্তর। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় থাকা নিম্নমানের ইট ভেঙে তৈরি খোয়াই ব্যবহার করতে হচ্ছে ঠিকাদারকে। পরিষদের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় খন্ড খন্ড ভাবে অন্তত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করছে উপজেলাস্থ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর  (এলজিইডি)।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে রাস্তার মাটি কেটে বক্স তৈরি করা হয়েছে। এরপর বালু ফিলিং করে সাববেজ (ইটের খোয়া ও বালুর মিশ্রণ) তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ভেঙে খোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনো সময় এই খোয়া ব্যবহার করা হবে সাববেজ ও ডব্লিউবিএম তৈরির কাজে।

স্থানীয়রা বলেন, সরকারি অর্থে নির্মিত রাস্তায় যদি এই ধরণের কমা নিম্নমানের  উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তবে রাস্তাটি কখনোই সুন্দর মজবুত ও টেকসই হবে না। অল্প সময়েই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে, যা এক ধরণের সরকারি টাকার অপচয়। তাদের দাবি, নিয়ম মেনে কাজের গুণগত মানের নিশ্চয়তা দেওয়া জরুরি। না হলে সরকারের সব অর্থ অপচয় হবে, জনদু্র্ভোগ ও ভোগান্তি বাড়বে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার তানজিদুল ইসলাম বলেন, ইজিপিপি কাজে রাস্তায় পুরাতন যেসব ইট রয়েছে সেগুলো ভেঙে কাজ করতে হবে। কারণ আগেই ওই রাস্তায় থাকা ইটের দাম কেটে নিয়েছে এলজিইডি দপ্তর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় এই রাস্তার নির্মাণ কাজ চলেছে। এ প্রকল্পে সাধারণত এই ধরণেরই উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা প্রকল্পের নিয়মের মধ্যেই পড়ে।