Dhaka ১১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএমডির গোপনে আমগাছ নিলাম প্রক্রিয়া অবশেষে স্থগিত!

????????????

রাজশাহীর তানোরে ১৪ গ্রুপে ১ হাজার ২৪১  আমগাছ অতি গোপনে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেন বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দায়িত্ব প্রাপ্ত জামিনুর রহমান বলে অভিযোগ উঠেছে। নিলাম দেয়ার জন্য কোন ধরনের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে বিষয় টি জানাজানি হলে রহস্য জনক কারনে স্থগিত করে দেন সহকারী প্রকৌশলী বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন।

সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দায়িত্ব প্রাপ্ত জামিনুর রহমান কে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মোবাইলে যোগাযোগ করে কোন ধরনের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই গোপনে কিভাবে নিলাম হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলা থেকে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে টেন্ডারের মাধ্যমে নিলাম হয়েছে। বাকি আমগাছ গুলো বৃহস্পতিবার তানোর অফিস থেকে নিলাম দেয়া হবে। কোন প্রচারণা ছাড়াই নিলাম দেয়া হয় কিভাবে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিলামে বেশি অংশ গ্রহণ না হলে স্থগিত করা হবে। পরে সন্ধ্যার আগে পুনরায় মোবাইলে সহকারী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাওয়া হয় নিলাম নাকি স্থগিত হয়েছে, তিনি জানান হ্যা স্থগিত করা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবারে পুনরায় নিলাম দেয়া হবে। তার আগে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, নিলামের আগে বিভিন্ন জায়গায় নোটিশ ও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করার পর নিলাম হয়। অবশ্য দু পাঁচটি গাছ নিলামের জন্য প্রচারের তেমন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ১২৪১ টি গাছ প্রচার প্রচারণা ছাড়া নিলাম মানেই সিন্ডিকেট। নিলামে যত বেশি অংশ গ্রহণ করবে সরকারের ততই রাজস্ব বাড়বে। তাহলে সহকারী প্রকৌশলী কার স্বার্থে গোপনে নিলাম দিচ্ছিলেন। আসলে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, কিন্তু দোসররা বহাল তবিয়তে আছে বলেই এখনো বিএমডিএ থেকে সিন্ডিকেট দুর হয়নি। এসব চক্রের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

যে সব রাস্তার গাছ নিলাম হবে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল,  সুকদেবপুর মসজিদ মোড় হতে মানিককন্যা হয়ে সিধাইড় পর্যন্ত ২.৫ কি:মি;, গাছের সংখ্যা ১০৩ টি। দূর্গাপুর মোড় হতে দূর্গাপুর পিয়ার উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত, ১ কি:মি:, গাছের সংখ্যা ৪৭ টি। হাতিশাইল রাস্তার মোড় হতে কচুয়া হাট হয়ে ঈদগা পর্যন্ত রাস্তার দুধার, ৩ কি:মি:, গাছের সংখ্যা ৫০ টি। লবাতলা খাড়ির ব্রীজের পশ্চিমে সেলিমের জমি হতে হারেজের জমি পর্যন্ত ৫ কি:মি: গাছের সংখ্যা ৫০ টি। কালীগঞ্জ তালুকদার দিঘি হতে সরনজাই বাজার পর্যন্ত ১ কি:মি: ৪০ টি গাছ। আমশো  হতে লসিরামপুর ব্রীজ পর্যন্ত ১.৫ কি:মি: ৫৭ টি গাছ। এভাবে সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার ১৪ টি গ্রুপে ১২৪১ টি আমগাছ নিলাম হত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বিএমডির গোপনে আমগাছ নিলাম প্রক্রিয়া অবশেষে স্থগিত!

Update Time : ০৮:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

রাজশাহীর তানোরে ১৪ গ্রুপে ১ হাজার ২৪১  আমগাছ অতি গোপনে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেন বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দায়িত্ব প্রাপ্ত জামিনুর রহমান বলে অভিযোগ উঠেছে। নিলাম দেয়ার জন্য কোন ধরনের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে বিষয় টি জানাজানি হলে রহস্য জনক কারনে স্থগিত করে দেন সহকারী প্রকৌশলী বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন।

সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দায়িত্ব প্রাপ্ত জামিনুর রহমান কে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মোবাইলে যোগাযোগ করে কোন ধরনের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই গোপনে কিভাবে নিলাম হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলা থেকে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে টেন্ডারের মাধ্যমে নিলাম হয়েছে। বাকি আমগাছ গুলো বৃহস্পতিবার তানোর অফিস থেকে নিলাম দেয়া হবে। কোন প্রচারণা ছাড়াই নিলাম দেয়া হয় কিভাবে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিলামে বেশি অংশ গ্রহণ না হলে স্থগিত করা হবে। পরে সন্ধ্যার আগে পুনরায় মোবাইলে সহকারী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাওয়া হয় নিলাম নাকি স্থগিত হয়েছে, তিনি জানান হ্যা স্থগিত করা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবারে পুনরায় নিলাম দেয়া হবে। তার আগে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, নিলামের আগে বিভিন্ন জায়গায় নোটিশ ও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করার পর নিলাম হয়। অবশ্য দু পাঁচটি গাছ নিলামের জন্য প্রচারের তেমন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ১২৪১ টি গাছ প্রচার প্রচারণা ছাড়া নিলাম মানেই সিন্ডিকেট। নিলামে যত বেশি অংশ গ্রহণ করবে সরকারের ততই রাজস্ব বাড়বে। তাহলে সহকারী প্রকৌশলী কার স্বার্থে গোপনে নিলাম দিচ্ছিলেন। আসলে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, কিন্তু দোসররা বহাল তবিয়তে আছে বলেই এখনো বিএমডিএ থেকে সিন্ডিকেট দুর হয়নি। এসব চক্রের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

যে সব রাস্তার গাছ নিলাম হবে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল,  সুকদেবপুর মসজিদ মোড় হতে মানিককন্যা হয়ে সিধাইড় পর্যন্ত ২.৫ কি:মি;, গাছের সংখ্যা ১০৩ টি। দূর্গাপুর মোড় হতে দূর্গাপুর পিয়ার উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত, ১ কি:মি:, গাছের সংখ্যা ৪৭ টি। হাতিশাইল রাস্তার মোড় হতে কচুয়া হাট হয়ে ঈদগা পর্যন্ত রাস্তার দুধার, ৩ কি:মি:, গাছের সংখ্যা ৫০ টি। লবাতলা খাড়ির ব্রীজের পশ্চিমে সেলিমের জমি হতে হারেজের জমি পর্যন্ত ৫ কি:মি: গাছের সংখ্যা ৫০ টি। কালীগঞ্জ তালুকদার দিঘি হতে সরনজাই বাজার পর্যন্ত ১ কি:মি: ৪০ টি গাছ। আমশো  হতে লসিরামপুর ব্রীজ পর্যন্ত ১.৫ কি:মি: ৫৭ টি গাছ। এভাবে সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার ১৪ টি গ্রুপে ১২৪১ টি আমগাছ নিলাম হত।