গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পুলিশ পরিচয়ে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে সাবেক প্রধান শিক্ষকসহ তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লুট করা হয়েছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার কালিয়াদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগী হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের কালিয়াদহ এলাকায় মৃত মোগরব আলী সরকারের ছেলে শহিদুল ইসলাম। তিনি পাশের বাঁশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ওই প্রধান শিক্ষক কিছু দিন আগে কালিয়াকৈর উপজেলার বাঁশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসরে যান। এরপর তিনি তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক ছেলের বউ নিয়ে সুখে শান্তি তার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেও তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ করে গভীর রাত ৩টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের দরজায় কড়া নারে একদল ডাকাত। পুলিশ পরিচয় দিলে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে তাদের ঘরের দরজা খুলেন সাবেক ওই প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। কিন্তু দরজা খুলতেই সংবদ্ধ ডাকাতদল সাবেক ওই প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে চলে যায়। পরে ডাকচিৎকারের আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাবেক ওই প্রধান শিক্ষকসহ তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পরের দিন
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে। এছাড়াও খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম সেখানে গিয়ে ডাকাত কবলিত আতঙ্কিত ভুক্তভোগী পরিবারকে শান্তনা দিয়ে এ ঘটনায় দুঃখ্য প্রকাশ করেন।
কালিয়াকৈর থানার পুলিশ অপারেশন ওসি যোবায়ের আহম্মেদ জানান, সাবেক ওই প্রধান শিক্ষকের ডাকাতির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।