সিরাজগঞ্জের যমুনার চর এখন ফসলের সমারোহ। চরের যেদিকে দুচোখ যায় শুধু ফসল আর ফসল। নদী ভাঙ্গন কবলিত কৃষকদের চোখেমুখে যেন স্বস্তির পরশ দিচ্ছে এসব ফসল। কিন্তু চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালোনা থাকায় ফসলের কাঙ্খিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার কৃষকেরা। আর চরকে ফসল বৈচিত্র্যে রুপদিতে ও ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
জানাগেছে,সিরাজগঞ্জের যমুনার চর এখন সবুজের চাদরে ঢাকা এক বিস্তীর্ণ জনপদ। আগে এসকল চরে শুধুই ছিলো ধুধু বালু চর। কিন্তু সম্প্রতি যমুনা নদীর উজানে কাজীপুর থেকে ভাটির চৌহালী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ চরে এবার চাষ হয়েছে ধান, পাট, গম, ভুট্টা,কালাই, বাদাম, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন ও সবজিসহ নানা ধরনের ফসল। নাটুয়ারপাড়া.কাওয়াকোলা,মেছড়া,চর কাটেঙ্গাসহ নদী ভাঙ্গন কবলিত কৃষকের চোখেমুখে যেন স্বস্তিÍর পরশ দিচ্ছে এসব ফসল। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলও হয়েছে ভালো। বসতভিটা হারিয়ে গেলেও এখানকার উৎপাদিত ফসল দিয়ে চলছে তাদের জীবন জীবিকা মুক্তি পেয়েছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতা থেকে। তাই চরের কৃষি আবাদকে আরো সমৃদ্ধ করতে কৃষি ঋণের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান এই অঞ্চলের একাধিক কৃষক।
কাওয়াকোলার চরের বাসিন্দা মজনু মিয়ার মতে আগে চেয়ে চরে ফসল এখন অনেক বেশি হলেও যাতায়াতের কারনে আমরা দাম পাইনা সরকার যদি টরের মানুষের দিকে নজর না দেয় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেই থাকবো।
এনিয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসান অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ.জা.মু.আহছান শহিদ সরকার বলেন,চরের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও ফসলের ন্যায্য মূল্যসহ বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। তারমতে,চরের ফসলকে আরো সমৃদ্ধ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও ঋণ সুবিধার পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারি বেসরকারি ভাবে সবাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আর চরের মানুষের প্রত্যাশা তারা শহরের সুবিধার অংশ বিশেষ পেলেই তারা খুশি।