Dhaka ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদুল-আযহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৬ লাক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0;

ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মত এবারও সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন খামারে বিপুল পরিমাণ ষাঁড় মোটা তাজা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, ডালের গুঁড়া, ভাত, খৈলসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য খাইয়ে ষাঁড় মোটা তাজা করছেন গো-খামারিরা। আর এসকল ষাঁড় মোটা তাজা করতে খামারিদের প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। তাদের দেয়া তথ্যমতে গরু,ছাগল,মহিষ ছাগল,ভেড়া,গাড়ল মিলে জেলায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তত আছে।

সরেজমিনে জানাগেছে,প্রতিদিন ভোর থেকে শুরুকরে সারাদিন বিভিন্ন ভাবে পরিচর্যা করে এক একটি গরুকে পরম যতেœ লালন পালন করছেন প্রান্তিক খামারিরা। প্রতি বছরই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে জেলার সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলাতে ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন জাতের ষাঁড়, মহিষ, ভেড়া, গাড়লসহ বিদেশী জাতের ছাগল মোটা তাজা করণ করা হয়। এবছরও প্রাকৃতিক উপায়ে সবুজ ঘাস, খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভূষি, ভাত, খৈলসহ অন্যান্য দানাদার খাদ্য খাইয়ে ষাঁড় মোটা তাজা করেছেন বড় ও ছোট প্রান্তিক খামারীরা। আর এসকল গবাধি পশু সিরাজগঞ্জ জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে খামারিরা লসে পড়ে বন্ধ করে দিয়েছে অনেক খামার বলে জানান খামারিরা। এছাড়া গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় প্রান্তিক খামারীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু নাআসলে ভালো দামে পুষিয়ে উঠতে পাবরেন বলে মনে করেন অনেক খামারী।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ কে এম আনোয়ারুল হক,আমাদের সময়কে জানান,প্রাণি সম্পদ বিভাগ ষাঁড়সহ বিভিন্ন ধরনের গোবাদি পশু মোটা তাজাকরতে খামারিদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিযে যাচ্ছে। তারদেয়া তথ্যমতে জেলায় এবছর কোরবানীর চাহিদা ২লাখ ৪২ হ্জার পশু। আর প্রস্তুত আছে প্রায সাড়ে ৬লাখ পশু। বাকি প্রায় সাড়ে ৪লাখ পশুকে রাজধানী ঢাকা,বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটে পাঠানো হবে। তারমতে সিরাজগঞ্জের কোরবানীর পশুর দিকে সারা দেশের মানুষের চাহিদা একটু বেশি। শুধু তাইনয়,অনলাইনের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করার ব্যবস্থা থাকবে। দেশের যেকোন স্থান থেকে ক্রেতা বিক্রেতা এই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের পশু কিনতে ও বিত্রি করতে পারবে।

এছাড়া কোরবানীর জন্য  সিরাজগঞ্জে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার গরু, ৩ লক্ষ ৯৯হাজার ছাগল, ৪ হাজার মহিষ ও ৬৭ হাজার ভেড়াসহ প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারবা যার মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনায় জলবায়ু ঝুঁকিকে মাথায় রেখে নগর ব্যবস্থাপনা সাজানো হবে:পরিকল্পনায় বুয়েট

ঈদুল-আযহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৬ লাক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত

Update Time : ০৫:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মত এবারও সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন খামারে বিপুল পরিমাণ ষাঁড় মোটা তাজা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, ডালের গুঁড়া, ভাত, খৈলসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য খাইয়ে ষাঁড় মোটা তাজা করছেন গো-খামারিরা। আর এসকল ষাঁড় মোটা তাজা করতে খামারিদের প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। তাদের দেয়া তথ্যমতে গরু,ছাগল,মহিষ ছাগল,ভেড়া,গাড়ল মিলে জেলায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তত আছে।

সরেজমিনে জানাগেছে,প্রতিদিন ভোর থেকে শুরুকরে সারাদিন বিভিন্ন ভাবে পরিচর্যা করে এক একটি গরুকে পরম যতেœ লালন পালন করছেন প্রান্তিক খামারিরা। প্রতি বছরই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে জেলার সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলাতে ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন জাতের ষাঁড়, মহিষ, ভেড়া, গাড়লসহ বিদেশী জাতের ছাগল মোটা তাজা করণ করা হয়। এবছরও প্রাকৃতিক উপায়ে সবুজ ঘাস, খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভূষি, ভাত, খৈলসহ অন্যান্য দানাদার খাদ্য খাইয়ে ষাঁড় মোটা তাজা করেছেন বড় ও ছোট প্রান্তিক খামারীরা। আর এসকল গবাধি পশু সিরাজগঞ্জ জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে খামারিরা লসে পড়ে বন্ধ করে দিয়েছে অনেক খামার বলে জানান খামারিরা। এছাড়া গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় প্রান্তিক খামারীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু নাআসলে ভালো দামে পুষিয়ে উঠতে পাবরেন বলে মনে করেন অনেক খামারী।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ কে এম আনোয়ারুল হক,আমাদের সময়কে জানান,প্রাণি সম্পদ বিভাগ ষাঁড়সহ বিভিন্ন ধরনের গোবাদি পশু মোটা তাজাকরতে খামারিদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিযে যাচ্ছে। তারদেয়া তথ্যমতে জেলায় এবছর কোরবানীর চাহিদা ২লাখ ৪২ হ্জার পশু। আর প্রস্তুত আছে প্রায সাড়ে ৬লাখ পশু। বাকি প্রায় সাড়ে ৪লাখ পশুকে রাজধানী ঢাকা,বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটে পাঠানো হবে। তারমতে সিরাজগঞ্জের কোরবানীর পশুর দিকে সারা দেশের মানুষের চাহিদা একটু বেশি। শুধু তাইনয়,অনলাইনের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করার ব্যবস্থা থাকবে। দেশের যেকোন স্থান থেকে ক্রেতা বিক্রেতা এই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের পশু কিনতে ও বিত্রি করতে পারবে।

এছাড়া কোরবানীর জন্য  সিরাজগঞ্জে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার গরু, ৩ লক্ষ ৯৯হাজার ছাগল, ৪ হাজার মহিষ ও ৬৭ হাজার ভেড়াসহ প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারবা যার মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।