বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সদস্য মাওলানা শামিম আহম্মেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীনসহ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৫জনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে পৌর ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অমিত হাসান শুভ ও তার সহযোগী পাথরঘাটা কলেজরোডস্থ পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসকাবের মধ্যে ঢুকে এ ঘটনা ঘটায়। এসময় সংবাদ সম্মেলন করতে আসা আলমগীর নামের এক ব্যাক্তিকে টেনেহিঁচড়ে মারধর করেন তারা। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা অমিত হাসান শুভ পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা এলাকার মৃত আনিস মিয়ার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মাওলানা শামীম আহম্মেদকে নিয়ে পৌর ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অমিত হাসান শুভ সংবাদ সম্মেলন করে। এর প্রতিবাদে মাওলানা শামীম আহম্মেদের পে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন।
পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আল হাদিদ বলেন, শনিবার সকাল ১০ টায় পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসকাবে কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সদস্য মাওলানা শামিম আহমেদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আসলে প্রেসকাবের মধ্যে ঢুকে হঠাৎ আক্রমণ করে অমিত হাসান শুভ ও তার সাথে থাকা কিছু ছেলে, তখন আমার ও আমার সাথে থাকা আলমগীরের জামা ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে প্রেসকাবে থাকা কিছু সাংবাদিকরা এতে বাধা দেয় এবং আমাদেরকে নিরাপদে বসানো হয়। এরকম অপ্রীতিকর ঘটনার ভিডিও করতে থাকলে এক সাংবাদিকের উপর আক্রমণ করতে তেড়ে আসে অমিত হাসান শুভ। এসময় শুভর সাথে থাকা এক ছেলে আরটিভির লোগো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শুভসহ বখাটেরা ভিডিও ডিলিট করার জন্য সাংবাদিকদের হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অমিত হাচান শুভ এর মুঠোফোনে একাধিকবার কলা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মো. ফারুক বলেন, মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা সবার রয়েছে। আর মত প্রকাশ করার মাধ্যম হচ্ছে সাংবাদিক এবং সাংবাদিকদের সংগঠন। এ রকমের প্রেসকাবে যদি হামলা হয়ে থাকে তা দুঃখজনক। বিষয়টি খোজখবর নিয়ে দেখছি।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসকাবের সভাপতি আবুসালেহ জসিম ও সাধারণ সম্পাদক বদরুল আহসান সাকিব জানান, পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই সাবেক ছাত্রদল নেতা অমিত হাচান শুভ ও তার সাথে কিছু ছেলেরা সামনে দাড়িয়ে ছিলো। তাকে চলে যেতেও বলা হয়েছে, কিন্তু সে না গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের শেষের সংবাদ সম্মেলন আসা আলমগীর হোসেনকে ধরে টানাহেচরা শুরু করেন এবং সাংবাদিকদের উপরেও চড়াও হয়। এটা মোটেই কাম্য নয়। আত্ন পক্ষ সমর্থনের সুযোগ সবারই আছে। তাই বলে এভাবে করা বিষয়টি ঠিক হয়নি।
পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি তাৎক্ষনিক সাংবাদিকরা জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।