গত এপ্রিল মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৯৩টি। নিহত ৫৮৮ জন এবং আহত ১১২৪ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৮৬ শিশু ৭৮ । ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২২৯ জন,। দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৪ জন।
এই সময়ে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ৪ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোববার (১১ মে) সকালে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এপ্রিল মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৩টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৩৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৬টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৬১টিশহরের সড়কে এবং ৯টি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনাসমূহের ১৪৬টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৯টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৭৪টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৭টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-পুলিশ ভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি- লরি-তেলবাহী ট্যাংকার-ড্রাম, যাত্রীবাহী বাস ১৩. মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-টমটম-মাহিন্দ্র-আলগামন), বাইসাইকেল-রিকশা এবং অজ্ঞাত যানবাহন।
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে, সকালে, দুপুরে, বিকালে, সন্ধ্যায় এবং রাতে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম নীলফামারী জেলায়। এই জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি।
রাজধানী ঢাকায় ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছে।