বরগুনার পাথরঘাটায় চলছে তীব্র তাপদাহ এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপ প্রবাহ, স্বস্তি নেই কোথাও।সূর্য এতটাই প্রখর যে,বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড।একটু প্রশান্তি ও শরীরকে সতেজ রাখার জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়া, কিংবা পুকুর পাড়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা যেতে পারছেনা স্কুলে।রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না কারণ বৈদ্যুতিক পাখাও হার মানছে এই তীব্র গরমের কাছে।
সোমবার(১২ মে) পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
কয়েকজন দিনমজুর এর সাথে কথা বললে তারা বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারনে কাজ করতে পারছি না দুপুরের কড়া রোদ আর সহ্য হচ্ছে না, কিন্তু কি আর করবো কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে, হঠাৎ করে গরমের কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ঘাম বেশি হচ্ছে। ঘন ঘন পানি পান করতে হচ্ছে। রৌদ্রের প্রখরতায় শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার অবস্থা।
রিক্সা চালক বেলাল বলেন, তীব্র তাপের কারনে মানুষ বাহিরে বের হতে পারেনা তাই আমাদের বসে বসে দিন কাটাতে হচ্ছে।
উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের উপকূলের এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উপকূলের গাছপালা ক্রমে ধংস হচ্ছে। ফলে তাপদাহ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপদাহ থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় বেশি বেশি গাছ লাগানো। গত কয়েকদিন ধরে উপকূলে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্হ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুব হোসেন বলেন তীব্র তাপদাহের কারনে হিটস্ট্রোক ডায়রিয়া সহ মারাত্মক কিছু রোগের ঝুঁকি রয়েছে, এবং সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন এ সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যতীত বাহিরে বের না হওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করা, বাহিরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করা রঙিন কাপড় ব্যবহার থেকে বিরত থেকে সুতি পাতলা জামা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।