অন্তর্র্বতী সরকার আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের এই বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মঙ্গলবার (১৩ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আমাদের আহ্বান তারা যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সব সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান দেয়।
সদ্য সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারার আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সোমবার (১২ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফলে আওয়ামী লীগ আপাতত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বা প্রচার চালাতে পারবে না। দলটিকে এখন জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সেজন্য ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনের পর ওইদিন রাতেই দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।