রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামে স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। মেধাবী ছাত্র সাম্যকে নিমর্মভাবে হত্যা করায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একই সাথে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন স্বজনরা।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিবেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামের ফরহাদ সরদারের ছেলে শাহরিয়ার আলম সাম্য। উল্লাপাড়া মোমোনা আলী বিজ্ঞান স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর পরিবারের সাথে ঢাকায় চলে যান। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছিলেন। পাশাপাশি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে সোহরাওযয়ার্দীী উদ্যান মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এরই একপর্যায়ে সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাত ১টার দিকে সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে খবর শুনেই সবাই বাকরুদ্ধ ও শোকাহত। স্বজনরা মেধাবী ছাত্র হত্যার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। তারা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারপুর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
পে-অফ: বুধবার রাতে লাশবাহী গাড়িতে করে ঢাকা থেকে সাম্যের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সড়াতৈল এলাকায় নিয়ে আসা হয়। এশার নামাজ শেষে জানাযার পর সাম্যের নিজ এলাকার কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।