Dhaka ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপসা ব্রিজ টোল প্লাজাতে টোল দেওয়ার সময় গাড়ি থেকে বিশাল মদের চালান জব্দসহ দুই জন আটক

ঢাকা থেকে দেশী ও বিদেশী মদের চালান নিয়ে খুলনায় এসে গ্রেপ্তার হলেন দু’জন। এসময় জব্দ করা হয় একটি প্রাইভেট কার। গতকাল বুধবার ১৪ মে রাত সাড়ে নয়টার দিকে খুলনার রূপসা সেতুর টোল প্লাজায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম ওই মদের চালান উদ্ধার করে।
এসময় গেপ্তার করা হয়, মোঃ আব্দুর রহিম শরীফ (৫৩) এবং গাড়িচালক মোঃ ওহাব শিকদারকে (৬০) উদ্ধারকৃত মদের মধ্যে রয়েছে ৩৪ পিস বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং ৪৬ পিস দেশীয় কেরু এন্ড কোম্পানীর মদ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা থেকে দেশী-বিদেশী মোট ৮০ পিস মদের ইনটেক্ট বোতল নিয়ে খুলনায় আসছিল। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেলের একটি টিম রূপসা সেতুর টোল প্লাজা থেকে তা’ আটক করে। তবে উদ্ধারকৃত মদের মূল্য প্রাথমিকভাবে নিরূপন করা যায়নি।
আটকদ্বয় জানান, ঢাকার একটি মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে মাঝে মধ্যে ভাড়া করা প্রাইভেটকারযোগে খুলনায় এসে মদের চালান খুলনার ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। এর আগেও তারা একাধিকবার খুলনায় আসে। প্রথমে তারা সেগুলো নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসে। সেখানে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর পেয়ে খুলনার মাদক ব্যবসায়ীরা বিশেষ সিগনালের মাধ্যমে অন্য গাড়িতে মদগুলো তুলে নিয়ে যায়। তবে খুলনার কারা এরসাথে জড়িত তাদের কারও নাম বলতে পারেননি গ্রেপ্তারকৃতরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আটক হওয়ার পর একাধিকবার আব্দুর রহিম শরীফের মোবাইলে জামাল নামের একজন হোয়াটসএ্যাপে কল দেয়। কিন্তু আব্দুর রহিম জামাল নামে কাউকে চেনেন না বলে জানান।
প্রাইভেট চালক মোঃ ওহাব শিকদার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের কাছে জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের গাড়ির ড্রাইভার। ওই সচিবের নাম রাশেদ খান। যার বাড়ি মানিকগঞ্জে এবং সেখানে রাশেদ খান নামে একটি কলেজও রয়েছে। তবে গাড়িটি রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নামে। যার নম্বর-ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৫৯৫। রাবেয়া খাতুন একজন স্কুল শিক্ষক বলেও জানান চালক।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহিম শরীফ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ এলাকার স্থায়ী এবং বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গিচর চৌরাস্তার হযরত নগর এলাকার বাসিন্দা এবং প্রাইভেটকার চালক মোঃ ওহাব শিকদার ফরিদপুরের নগরকান্দার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার লালবাগের আমরেগোলা এলাকায় বসবাস করেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

রূপসা ব্রিজ টোল প্লাজাতে টোল দেওয়ার সময় গাড়ি থেকে বিশাল মদের চালান জব্দসহ দুই জন আটক

Update Time : ০৫:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
ঢাকা থেকে দেশী ও বিদেশী মদের চালান নিয়ে খুলনায় এসে গ্রেপ্তার হলেন দু’জন। এসময় জব্দ করা হয় একটি প্রাইভেট কার। গতকাল বুধবার ১৪ মে রাত সাড়ে নয়টার দিকে খুলনার রূপসা সেতুর টোল প্লাজায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম ওই মদের চালান উদ্ধার করে।
এসময় গেপ্তার করা হয়, মোঃ আব্দুর রহিম শরীফ (৫৩) এবং গাড়িচালক মোঃ ওহাব শিকদারকে (৬০) উদ্ধারকৃত মদের মধ্যে রয়েছে ৩৪ পিস বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এবং ৪৬ পিস দেশীয় কেরু এন্ড কোম্পানীর মদ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা থেকে দেশী-বিদেশী মোট ৮০ পিস মদের ইনটেক্ট বোতল নিয়ে খুলনায় আসছিল। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেলের একটি টিম রূপসা সেতুর টোল প্লাজা থেকে তা’ আটক করে। তবে উদ্ধারকৃত মদের মূল্য প্রাথমিকভাবে নিরূপন করা যায়নি।
আটকদ্বয় জানান, ঢাকার একটি মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে মাঝে মধ্যে ভাড়া করা প্রাইভেটকারযোগে খুলনায় এসে মদের চালান খুলনার ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। এর আগেও তারা একাধিকবার খুলনায় আসে। প্রথমে তারা সেগুলো নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসে। সেখানে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর পেয়ে খুলনার মাদক ব্যবসায়ীরা বিশেষ সিগনালের মাধ্যমে অন্য গাড়িতে মদগুলো তুলে নিয়ে যায়। তবে খুলনার কারা এরসাথে জড়িত তাদের কারও নাম বলতে পারেননি গ্রেপ্তারকৃতরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আটক হওয়ার পর একাধিকবার আব্দুর রহিম শরীফের মোবাইলে জামাল নামের একজন হোয়াটসএ্যাপে কল দেয়। কিন্তু আব্দুর রহিম জামাল নামে কাউকে চেনেন না বলে জানান।
প্রাইভেট চালক মোঃ ওহাব শিকদার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের কাছে জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের গাড়ির ড্রাইভার। ওই সচিবের নাম রাশেদ খান। যার বাড়ি মানিকগঞ্জে এবং সেখানে রাশেদ খান নামে একটি কলেজও রয়েছে। তবে গাড়িটি রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নামে। যার নম্বর-ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৫৯৫। রাবেয়া খাতুন একজন স্কুল শিক্ষক বলেও জানান চালক।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহিম শরীফ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ এলাকার স্থায়ী এবং বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গিচর চৌরাস্তার হযরত নগর এলাকার বাসিন্দা এবং প্রাইভেটকার চালক মোঃ ওহাব শিকদার ফরিদপুরের নগরকান্দার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার লালবাগের আমরেগোলা এলাকায় বসবাস করেন।