কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শতাধিক বিলের শত শত একর উঠতি বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জমির পাকা ও আধাপাকা ধান ক্ষেত দীর্ঘ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকায় তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, জিঞ্জিরাম নদের অববাহিকায় রৌমারী উপজেলার লাঠিয়াল ডাঙ্গা কালাপানির বিল, বেকরিবিল, সীমান্তঘেঁষা আলগারচর দর্নির বিল, ডিসি সড়কের দুদিকের খালবিলসহ শতাধিক বিল তলিয়ে গেছে।
এই বিল গুলো বছরে মাত্র ৩ মাস শুকনো থাকে। সেখানে বছরে একটি মাত্র ফসল উৎপাদ করা হয় সেটি বোরো ধান। কিন্তু এ বছর কৃষকের বিধি বাম। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় অবিরাম বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে এসব বিলের ফসল। এ অবস্থায় দূরত¦ পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা না থাকায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের সপ্ন।
সীমান্তঘেষাঁ আলগারচর,খেওয়ার চর, হাওর অঞ্চলের ধান চাষি কৃষক রবিউল ইসলাম, লুৎফর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন,লতিফ, আব্দুল আজী, বাবুল, মনজিল হোসেন, জালাল,আলী আহম্মেদ, বেকরিবিলের ছাত্তার, কুদ্দুস, লিচু, নাছির, আলগার চরের জলিল, রবিউল, আব্বাস আলী, মাহুবর, উত্তর আলগার চরের সামছুল, রহিমুদ্দিন জানান, বিলের যে ধান দিয়ে তাদের সংসার চলে, সেই ধান এবার সব পচে গেছে।
ক্ষতির কারন জানা গেছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের নিকট ক্ষতিপূর্ণসহ পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানান চলতি মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের
চাষাবাদ হয়েছে। এবছর বোরো ধানের ফলনও ভালো কিন্ত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে পানিতে সীমান্তঘেষা হাওর অঞ্চলে ঢলের পানি প্রবেশ করে ক্ষতি স্বাধিত হয়েছে।