Dhaka ১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈরে হাত-পা বেঁধে একে একে তিন ভাইয়ের কক্ষে ডাকাতি, লুটপাট

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে একে একে তিন ভাইয়ের কক্ষে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুটপাট করা হয়েছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। সোমবার রাতে উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় এ দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, ডাকাত কবলিত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া-মাওনা সড়কের পাশে শাহ আলমের যৌথ ২য় তলা ভবনে দুর্ধষ এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতের খামার খেয়ে ঘুমিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রাত আড়াইটার দিকে তাদের ভবনে বারান্দার গ্রীল বেয়ে ওই ভবনের ২য় তলায় উঠে ৮-১০ জনের একদল ডাকাত। পরে তারা প্রথমে বাবুলের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় বাবুলকে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তার কক্ষের আসবাবাপত্র ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে ডাকাত দল।

পরে ডাকাত সদস্যরা তার হাতপা বাধা অবস্থায় তাকে নিয়ে পাশের তার বড় ভাই শাহ আলমকে ডেকে তোলে। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় তার কক্ষের আসবাবপত্র ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ টাকা, প্রায় ১৮-২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ডাকাত দল। এরপর তাদের জিম্মি করে অপর ভাই ইব্রাহিমকে ডেকে তুলেন। এসময় ডাকাত দল তাদের জিম্মি অবস্থায় কক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে। এতে সব মিলিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে চলে যায় ডাকাত সদস্যরা।

খবর পেয়ে ডাকাত দল চলে যাওয়ার প্রায় ঘন্টাখানেক পর পুলিশ ডাকাত কবলিত ভবন পরিদর্শন করে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত কোনো ডাকাত সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ডাকাত কবলিত পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া-মাওনা সড়ক ছাড়া যাওয়ার আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। কিন্তু ডাকাতির ঘটনার ঘন্টাখানেক পর পুলিশ এলেও কেন ডাকাতদের ধরতে পারলো না পুলিশ? কিন্তু পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে উল্টো আমাদেরই শাশায়। আমাদের শান্তনা না দিয়ে কেন বাড়িতে সিসি ক্যামারা লাগানো হয়নি? এমন সব কথা বলে পুলিশ আমাদের সঙ্গে রাগারাগি করে।

এবিষয়ে কালিয়াকৈর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আতিকুর রহমান রাশেল জানান, রাতে ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কালিয়াকৈরে হাত-পা বেঁধে একে একে তিন ভাইয়ের কক্ষে ডাকাতি, লুটপাট

Update Time : ০৫:০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে একে একে তিন ভাইয়ের কক্ষে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুটপাট করা হয়েছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। সোমবার রাতে উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় এ দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, ডাকাত কবলিত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকায় কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া-মাওনা সড়কের পাশে শাহ আলমের যৌথ ২য় তলা ভবনে দুর্ধষ এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতের খামার খেয়ে ঘুমিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রাত আড়াইটার দিকে তাদের ভবনে বারান্দার গ্রীল বেয়ে ওই ভবনের ২য় তলায় উঠে ৮-১০ জনের একদল ডাকাত। পরে তারা প্রথমে বাবুলের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় বাবুলকে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তার কক্ষের আসবাবাপত্র ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে ডাকাত দল।

পরে ডাকাত সদস্যরা তার হাতপা বাধা অবস্থায় তাকে নিয়ে পাশের তার বড় ভাই শাহ আলমকে ডেকে তোলে। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় তার কক্ষের আসবাবপত্র ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ টাকা, প্রায় ১৮-২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ডাকাত দল। এরপর তাদের জিম্মি করে অপর ভাই ইব্রাহিমকে ডেকে তুলেন। এসময় ডাকাত দল তাদের জিম্মি অবস্থায় কক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে। এতে সব মিলিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে চলে যায় ডাকাত সদস্যরা।

খবর পেয়ে ডাকাত দল চলে যাওয়ার প্রায় ঘন্টাখানেক পর পুলিশ ডাকাত কবলিত ভবন পরিদর্শন করে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত কোনো ডাকাত সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ডাকাত কবলিত পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া-মাওনা সড়ক ছাড়া যাওয়ার আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। কিন্তু ডাকাতির ঘটনার ঘন্টাখানেক পর পুলিশ এলেও কেন ডাকাতদের ধরতে পারলো না পুলিশ? কিন্তু পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে উল্টো আমাদেরই শাশায়। আমাদের শান্তনা না দিয়ে কেন বাড়িতে সিসি ক্যামারা লাগানো হয়নি? এমন সব কথা বলে পুলিশ আমাদের সঙ্গে রাগারাগি করে।

এবিষয়ে কালিয়াকৈর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আতিকুর রহমান রাশেল জানান, রাতে ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।