চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে সড়কে( চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায়) মোটরসাইকেল ও রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মোটর সাইকেল আরোহী ও রিক্সা চালকসহ দু জন নিহত হয়।এ ঘটনায় ৪ জন পথচারী মারাত্মক আহত হয়।
আহতদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯ মে ২৫) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায়।
জানা যায়, বাবুরহাট এলাকার বাসিন্দা মনির মালের ছেলে জেলা ছাএদল নেতা সমুদ্র মাল চাঁদপুর শহর থেকে ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাবুরহাটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
পথিমধ্যে চাঁদপুর শহরের চাঁদপুর – কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় (জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে) এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী সমুদ্র মাল ও নাটোর জেলার বাসিন্দা রিক্সা চালক ইসমাইল ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
নিহত সমুদ্র মাল চাঁদপুর সদরের বাবুরহাট এলাকার মাল বাড়ির মনির মালের ছেলে। অপর নিহত রিক্সা চালক ইসমাইল হোসেন। তার বাড়ি নাটোর জেলায়। এছাড়া আহতরা হচ্ছে, মোটরসাইকেল চালক রাকিব, আফজাল বিন ইলিয়াছ ও ফাহাদ হোসেন।
এদের মধ্যে রাকিব ও এসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল শহর থেকে বাবুরহাটের দিকে যাচ্ছিলো।
এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রিক্সার সাথে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভয়াবহ এই সংঘর্ষে রিকশাটি দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সমুদ্র মাল ও রিক্সাচালক ইসমাইল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলায়েত হোসাইন জানান, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা ৫ জনের মধ্যে দু জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। মৃত দু’জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনার খবর শুনে নিহত ও আহতদের স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বাহার মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ছুটে আসেন।
এ সময় নিহত ও আহতদের স্বজনদের উপস্থিতিতে এবং স্থানীয় উৎসুক শতশত জনতা ভিড় করে।। পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মডেল থানার কয়েকটি পুলিশ ফোর্স হাসপাতালে আসে।
পরে নিহত দু জনের লাশ চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস আই নূরে আলম সুরতহাল শেষে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ দুটি চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।