Dhaka ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাস্টিস এন্ড কেয়ার আয়োজিত “ToT for School & College Teachers” প্রোগ্রামে পুলিশ কমিশনার

মানব পাচার এবং চোরাচালান, পাচার হওয়া ভিকটিম সনাক্তকরণ, নিরাপদ অভিবাসন এবং বাল্যবিবাহ মত সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ নয়। স্কুল এবং কলেজ শিক্ষকদের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
এ লক্ষ্যে আজ বুধবার ২১ মে সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার আয়োজনে নগরীর খুলনা সদর থানাধীন সিএসএস আভারে সেন্টারে “To T for School & College Teachers on Human Trafficking, Smuggling, victim Identification, Safe Migration & Early Marriage” শীর্ষক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) জনাব আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ এবং নিরীহ লোকদের ভালো চাকুরি, মডেলিং, বিয়ের সুযোগসহ নানান সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগিরা যখন বুঝতে পারে তারা পাচার হয়েছে তখন তারা নিরুপায়। একটা মানুষ যখন পাসপোর্ট ছাড়া অন্য দেশে পাচার হয় তাকে চিহ্নিত করে উদ্ধার করাটা অনেক কঠিন কাজ। মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাচার হওয়া ভিকটিম সনাক্তকরণ এবং উদ্ধার করে। ভিকটিমদের তাদের পরিবারের নিকট ফিরতে সাহায্য করে এবং আইনী সহায়তাও প্রদান করে। এধরনের মানবিক কাজের জন্য তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সচেতনমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এ ধরনের প্রতারণা থেকে রেহাই পেতে পারে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে মানব পাচার ও বাল্যবিবাহ মত সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাজের কোন শ্রেণীপেশার পরিবারের মেয়েরা পাচারের শিকার হয়, কারা এই অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত, কারা পরোক্ষভাবে জড়িত, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের রুট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাস্টিস এন্ড কেয়ারের ডেপুটি ম্যানেজার এবিএম মহিদ হোসেন, হেড অব প্রোগ্রাম মোঃ সিরাজউদ্দিন, প্রোগ্রাম অফিসার আল্ মমিন-সহ খুলনা ও সাতক্ষীরার স্কুল-কলেজের ৩০ জন শিক্ষক।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাব,খুলনার বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

জাস্টিস এন্ড কেয়ার আয়োজিত “ToT for School & College Teachers” প্রোগ্রামে পুলিশ কমিশনার

Update Time : ১০:১৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
মানব পাচার এবং চোরাচালান, পাচার হওয়া ভিকটিম সনাক্তকরণ, নিরাপদ অভিবাসন এবং বাল্যবিবাহ মত সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ নয়। স্কুল এবং কলেজ শিক্ষকদের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
এ লক্ষ্যে আজ বুধবার ২১ মে সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার আয়োজনে নগরীর খুলনা সদর থানাধীন সিএসএস আভারে সেন্টারে “To T for School & College Teachers on Human Trafficking, Smuggling, victim Identification, Safe Migration & Early Marriage” শীর্ষক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) জনাব আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ এবং নিরীহ লোকদের ভালো চাকুরি, মডেলিং, বিয়ের সুযোগসহ নানান সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগিরা যখন বুঝতে পারে তারা পাচার হয়েছে তখন তারা নিরুপায়। একটা মানুষ যখন পাসপোর্ট ছাড়া অন্য দেশে পাচার হয় তাকে চিহ্নিত করে উদ্ধার করাটা অনেক কঠিন কাজ। মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পাচার হওয়া ভিকটিম সনাক্তকরণ এবং উদ্ধার করে। ভিকটিমদের তাদের পরিবারের নিকট ফিরতে সাহায্য করে এবং আইনী সহায়তাও প্রদান করে। এধরনের মানবিক কাজের জন্য তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সচেতনমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এ ধরনের প্রতারণা থেকে রেহাই পেতে পারে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে মানব পাচার ও বাল্যবিবাহ মত সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাজের কোন শ্রেণীপেশার পরিবারের মেয়েরা পাচারের শিকার হয়, কারা এই অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত, কারা পরোক্ষভাবে জড়িত, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের রুট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাস্টিস এন্ড কেয়ারের ডেপুটি ম্যানেজার এবিএম মহিদ হোসেন, হেড অব প্রোগ্রাম মোঃ সিরাজউদ্দিন, প্রোগ্রাম অফিসার আল্ মমিন-সহ খুলনা ও সাতক্ষীরার স্কুল-কলেজের ৩০ জন শিক্ষক।