কয়েক দিনের প্রবল টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের উঠতি বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে রৌমারী উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই টানা পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের হাজার হেক্টর পাকা ধান। এতে কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা মাথা রেখে হাওমাও করে কাঁদছে।
কারণ কয়েকদিন ধরেই ডুবে আছে
পাকাপোক্ত ধান ক্ষেত দীর্ঘ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকায় তা ধান গজে পচে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে ধান চাষি কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জিঞ্জিরাম নদের পানি বিপদ সিমা অতিক্রম করে ডুবে গেছে হাজারো কৃষকের সপ্ন। জিঞ্জিরাম নদীর অববাহিকায় রৌমারী উপজেলার লাঠিয়াল ডাঙ্গা কালা পানির, বেকরিবিল, সীমান্ত ঘেঁষা আলগারচর, খেওয়ার চর চুলিয়ার চর, বারবান্দা, ঝাউ বাড়ী, বকবান্দা, নামা পাড়া, ইজলামারী, খাটিয়ামারী,সহ সীমান্ত এলাকার নিম্নাঞ্চলে পাহাড়ী ঢলের পানি এসে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবছর আকাশ অনুকূলে না থাকায় অবিরাম বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার উঠতি ফসল।
সীমান্ত ঘেষাঁ আলগারচর,খেওয়ার চর, গ্রামের ধান চাষি কৃষক রবিউল ইসলাম, লুৎফর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন,আব্লদুল লতিফ, আব্দুল আজিজ, বাবুল, মনজিল হোসেন,সহ , বিকরিবিল গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার, কুদ্দুস আলী, লিচু, মিয়া, নাছির উদ্দিন সহ আরো অনেকেই।
ক্ষতির কারন জানা গেছে পানি নিষ্কাশনের রাস্তায় জমির মালিক মফিজল হক মাহুবা পানির নালা বন্দ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন, পাশাপাশি ক্ষতিপূর্ণসহ পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানান চলতি মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এবছর বোরো ধানের ফলনও ভালো কিন্ত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে সীমান্ত ঘেষা নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে।